রংপুরের ডাক ফাইল ছবি

অবৈধভাবে উত্তোলিত বালুবহনকারী ট্রাক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে খাদে, অল্পের জন্য বেচে গেলেন ড্রাইভার
নাকাইহাট-ভায়া-গাইবান্ধা আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু বহনের সময় কুন্দেরপাড়া নামক স্থানে নিয়ন্রন হারিয়ে ট্রাক উল্টে খাদে পড়ে গেছে। ২১ জুন ২০২১, সোমবার আনুমানিক রাত ৯ টায় ট্রাকটি বালু নিয়ে নওগা যাওয়ার পথে বেপরোয়া গতির কারনে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। জানা যায়, অল্পের জন্য এক পথচারি ও ট্রাকের ড্রাইভার প্রানে বেচে যায়। এলাকাবাসী বলছে প্রতিনিয়ত এমন দুর্ঘটনা ঘটে। অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু বহনের কাজে ব্যবহৃত এসব ট্রাকের বেপরোয়া গতির কারনে প্রতিনিয়ত পথচারী আহতসহ গরু-ছাগল ও অন্যান্য গবাদি পশুর মৃত্যু ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর ধরেই নাকাইহাট-ভায়া-গাইবান্ধা আঞ্চলিক সড়কে প্রায়ই ঘটছে ট্রাক আর সিএনজিচালিত অটোরিকশার মধ্যে দুর্ঘটনা। বালুবহনকারী যানের বেপরোয়া গতির কারণে বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, উপজেলার করতোয়া নদী থেকে বালু পরিবহনের জন্য প্রতিদিন সড়কটি দিয়ে ৫০০–এর বেশি ট্রাক চলাচল করে। এ ছাড়া এ সড়ক দিয়ে গাইবান্ধা-নাকাইহাট–গোবিন্দগঞ্জ সড়কে প্রতিদিন কয়েক শ সিএনজিচালিত অটোরকিশা চলে। বালুবহনকারী ট্রাকগুলো খালি অবস্থায় যাওয়ার সময় বেপরোয়া গতিতে চলে। আবার বালুবোঝাই করে যাওয়ার সময় থাকে অতিরিক্ত ভারী। এ কারণে সড়ক দিয়ে চলার সময় ট্রাকগুলোর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। আর অটোরিকশাগুলো বেপরোয়া গতিতে চলায় নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এতে প্রায়ই এই অংশে দুর্ঘটনা ঘটে।
সম্প্রতি নাকাইহাট-ভায়া-গাইবান্ধা আঞ্চলিক মহাসড়কের কুন্দের পাড়া এলাকার গিয়ে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেও জানা যায়, ওই সড়কে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা বেপরোয়া গতিতে চলার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা হয়।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অটোরিকশার চালক বলেন, ‘সড়কে চলার সময় আমরা সাবধান থাকি। তারপরও অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে।’ বেপরোয়া গতিতে অটোরিকশা চালানোর কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, সবাই বেশি গতিতে চালায়। এ কারণে তিনিও সেভাবে গাড়ি চালান।
সরেজমিন দেখা যায়, সড়কটির কোনো স্থানে গাড়ি নিয়ন্ত্রিত গতিতে চালানোর জন্য সাইনবোর্ড বা সতর্কতা সংকেত নেই। স্থানীয় ব্যক্তিদের দাবি, যেসব এলাকায় বেশি দুর্ঘটনা হয়, সেসব এলাকায় দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড দেওয়া উচিত। এতে দুর্ঘটনা কিছুটা হলেও কমতে পারে।

পোষ্টটি লিখেছেন: admin

এই ব্লগে 152 টি পোষ্ট লিখেছেন .

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *