স্টাফ রিপোটারঃ
সাংবাদিকদের ৪৫ শতাংশ মহার্ঘভাতা আইন চূড়ান্ত
ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল চিত্র)
নিজস্ব প্রতিবেদক ।। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সরকার গণ মাধ্যম কর্মীদের ৪৫ শতাংশ মহার্ঘভাতা নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়ন করেছে।
এটি অনুমোদনের জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া উভয় ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা কর্মস্থলে চাকরির অনিশ্চয়তায় ভোগেন।
এটা স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য হুমকি।
তাদের চাকরির এ অনিশ্চয়তা দূর করতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) আইন প্রণয়ন করছে, যা বর্তমানে অনুমোদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সাংবাদিকদের আবাসনের জন্যও বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
বুধবার (১৬ জুন, ২০২১ ইং) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের গণমাধ্যমকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমুন্নত রেখেছে সরকার।
তিনি জানান, বর্তমানে প্রকাশিত পত্রিকার সংখ্যা ৩ হাজার ২২২টি।
এছাড়া, বেসরকারি ৪৫টি টেলিভিশন, ২৭টি এফএম রেডিও সহ ৩১টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের ফলে দেশে টিভি চ্যানেল গুলো এখন অনেক কম খরচে সম্প্রচার কার্যক্রম চালাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সাংবাদিকদের পরিবারকে সহায়তা দেয়ার জন্য ১০ কোটি টাকা আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে।
করোনায় প্রেস ক্লাবের আয় কমে যাওয়ায় মে মাসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের জন্য ৫০ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
সংবাদকর্মীদের কল্যাণে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
সরকার ২০১৩ সালে অষ্টম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণার মাধ্যমে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুয়োগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছে।
বর্তমানে ১৮৮টি পত্রিকায় অষ্টম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়িত হয়েছে। এছাড়া নবম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণার মাধ্যমে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।’
সরকার দেশের সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের লক্ষ্যে নানা সুবিধা দেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় গুরুতর আহত সাংবাদিকদের দেশ-বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকার বহন করে থাকে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকেও সাংবাদিকদের জন্য অর্থ প্রদান সহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হয়।’