বুধবার (২৩ জুন) উপজেলা হাসপাতালের আয়োজনে আরটিপিসিআর টেস্ট করা হয়। উপজেলার চারপাশবেষ্টিত ভারত সীমান্ত থাকায় উৎকণ্ঠা করোনোভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, চোরাই পথে অবৈধভাবে ভারত থেকে আসছে মাদকদ্রব্য, গরু-মহিষসহ নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্য। স্থলবন্দরটিতে ভারতীয় নাগরিকের অনুপ্রবেশ এবং লোক পারাপারের ইমিগ্রেশন বিভাগ থাকায় আরো বেশি ঝুঁকিতে পড়েছে। নো-ম্যান্স ল্যান্ড দিয়ে প্রবাহিত মহানন্দা নদীতে প্রায় ৩০ হাজার পাথর উত্তোলন শ্রমিক রয়েছে। তাদের দ্বারাও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের ঝুঁকিতে এ স্থলবন্দরটি।
এই বিষয়ে উপজেলা হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা ড. আবুল কাশেম যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট চারদিক ৩০০ গুন সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা রাখে। এর ডাবল কিংবা ট্রিপল মিউটেশন ভাইরাস যে কোনো সময় আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশে। এছাড়া সীমান্তে পূর্ব থেকে অবস্থান করা কিছু ভারসম্যহীন পাগলকে বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে দেশটির বিএসএফ সদস্যরা বলেও জানান তিনি।
এই ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মাহামুদুর রহমান ডাবলু জনান, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রতিরোধে মাস্ক পড়া, সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া, দুরত্ব মেনে চলা এসব বিষয়ে স্থানীয়দের উদাসীনতা রয়েছে। এদিকে করোনা সংক্রমণ হিসেবে ভারতে শনাক্ত ও মৃত্যু মারাত্বকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিষয়টিতে বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান আমদানি রপ্তানী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কুদরতি খুদা মিলন জানান, বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকের ড্রাইভার হেল্পাররা স্বাস্থবিধি মেনে চলেন না।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানী- রপ্তানি গ্রুপ সভাপতি আবদুল লতিফ তারিন জানান, আমাদের এলাকার মানুষরা এখন অনেক সচেতন হয়েছে।
তেঁতুলিয়া বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার মোতালেব হোসেনকে স্বাস্থ সুরক্ষা প্রতিরোধে সীমান্তে কি রকম ব্যবস্থা আছে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, বিজিবি-বিএসএফ যৌথ টহলে দুরত্ব মেনে চলবো। সীমান্ত দিয়ে পাগল ঠেলে দেয়ার কথা জানালে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।