সাইফুল ইসলাম সৌরাভঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ঘরের ফ্যানের সাথে এক গৃহবধূকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ৪নং ইউনিয়নের ভোতরা (দিঘীপাড়া) গ্রামের আবুল কালামের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই গৃহবধু জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রামের আব্দুল হাকিমের মেয়ে সিমা আক্তার (২২)। প্রতিবেশীরা জানান, মাঝেমাঝেই তাদের স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া লেগেই থাকত।
শুক্রবার সকাল ১১টায় স্বামীর সাথে ঝগড়া করে ঘরে মধ্যে ঢুকে দরজা বন্ধ করে সিমা। দীর্ঘ সময় পর সিমার দেবরের স্ত্রী ঘরের দরজায় গিয়ে ডাকাডাকি করে। কিন্তু সিমা কোন উত্তর দিচ্ছিল না। পরে ঘরের জানালায় গিয়ে ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে পেঁচানো সিমার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন পাশের ঘরের দেয়ালের উপর দিয়ে গিয়ে সিমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।নিহত গৃহবধূ সিমা আক্তারের মা আশুরা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই শশুর বাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে অত্যাচার করত। দুইদিন আগে আমার মেয়ে কল করে কান্নাকাটি করেছে। ফোন করে তাকে নিয়ে যেতে বলছে।আমার বাড়ির লোকজন গতকাল বৃহস্পতিবার মেয়েকে নেওয়ার জন্য এসেছিল। কিন্তু শশুর বাড়ির লোকজন যেতে দেয়নি।ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শরিফ আল রাজিব বলেন, মৃতদেহে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই। শুধু গলায় ফাঁস দেওয়ার জায়গায় একটি দাগ রয়েছে। গলায় ফাঁস দেওয়া ওড়না সহ ঘটনার বিভিন্ন আলামত আমরা সংগ্রহ করেছি। ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলেই বোঝা যাবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা।ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, আমরা প্রাথমিক ভাবে একটি অপমৃত মামলা করেছি। গৃহবধূ পরিবারের অভিযোগ সিমাকে হত্যা করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে যদি প্রমাণিত হয় যে এটি হত্যা। তবে পরবর্তীতে আমরা প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।এখনও পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কেও কোন মামলা করতে আসেনি।