স্টাফ রিপোটারঃ
যমুনাসহ জেলার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার পানির তোড়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন স্থানের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।
টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ সে.মিটার কমে বিপদসীমার ৬১ সে.মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে দুর্ভোগ কমেনি বানভাসীদের। এখনও নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। ভেসে গেছে রাস্তা ঘাট ফসলি জমির ফসল ও পুকুরের মাছ।
টানা বর্ষণ আর নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
তলিয়ে গেছে শতাধিক বাড়িঘর, রাস্তা-ঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ চিকিৎসালয়। দ্রুত গতিতে বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা। সেই সাথে বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের হাহাকার।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে, উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ১১টি ইউনিয়নের বিশাল জনগোষ্ঠী পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মির্জাপুর পৌর এলাকার সিংহভাগ এলাকাই এখন পানির নিচে। এরমধ্যে ৪নং ওয়ার্ডের প্রায় শতভাগ মানুষ এখন পানিবন্দি। সবমিলিয়ে উপজেলায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এখন পানিবন্দি বলে জানা গেছে।
সরেজমিন ও উপজেলার পৌরসভা এলাকাসহ মহেড়া, ভাদগ্রাম, লতিফপুর, বহুরিয়া, আনাইতারা, বানাইল, ভাওড়া, জামুর্কী, উয়ার্শী, তরফপুর ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে পানিতে বাড়ি ঘর তলিয়ে যাওয়া আশ্রয়হীন হয়ে পড়া মানুষের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ছে।
গৃহপালিত পশু ও ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। পানিতে বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় ব্রিজের উপর ও উচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন অনেক পরিবার। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার চরম সংকট।
এদিকে, পানি বৃদ্ধির ফলে নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে নদী পাশ্ববর্তী শতাধিক পরিবার। উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে বরাবরের মতো এবারও বেশকিছু বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে মির্জাপুর পৌর এলাকার ডজন খানেক বসতবাড়ি। বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের প্রধান রাস্তা গুলো প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলার যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যামুক্ত রয়েছে সেগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার ব্যবস্থা করছি।
খাদ্য সংকট মোকাবেলায় প্রথম পর্যায়ে ২৭ টন চাল বিতরণ করা হচ্ছে। সামনে বরাদ্দ আরো বাড়ানো হবে। পানিবন্দি মানুষের পাশে থাকতে চালু করা হয়েছে হটলাইন নাম্বার।