কলম্বিয়ার বিপক্ষে কঠিন একটি সময় পার করে ব্রাজিল। এক সময় মনে হচ্ছিলো এবার বুঝি থামবে ব্রাজিলের জয়রথ। তবে শেষ মুহূর্তের দুই গোলে উল্টো দুর্দান্ত এক জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সেলেকাওরা। যদিও এই জয় নিয়ে আছে তুমুল বিতর্ক। ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করা রেফারির পক্ষপাতমূলক আচরণে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেলো ব্রাজিল।
কোপা আমেরিকায় গ্রুপ ‘বি’-এর ম্যাচে রিও ডি জেনিরোতে কলম্বিয়া প্রথমে গোল দিয়ে এগিয়ে গেলেও নিজেরা গোল পাচ্ছিল না স্বাগতিক ব্রাজিল। অবশেষে রেফারির ভুলে সেই গোল অবশেষে পেলো নেইমাররা। শেষ পর্যন্ত ইনজুরি সময়ের গোলে আরও একটি গোল। সব মিলিয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়লো ব্রাজিলিয়ানরা। ম্যাচের শুরুতে দুর্দান্ত একটি গোল দিয়ে বসেন কলম্বিয়ান স্ট্রাইকার লুইজ দিয়াজ। অনেক সংগ্রামের পর দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে এসে সমতা ফেরায় ব্রাজিল।

৭৮তম মিনিটে ফিরমিনোর গোলে খেলায় ফেরে তিতের দল। তবে এই গোল তুমুল আপত্তি তোলে কলম্বিয়া। রেফারি প্রথমে ভিএআর দিয়ে অফসাইড চেক করেন। এরপর গোলের চূড়ান্ত বাঁশি বাজালেও কলম্বিয়ানরা গোল মেনে নিচ্ছিল না। মাঠের মধ্যখানেই ঘিরে ধরে রেফারিকে। তাদের দাবি গোল বাতিল করতে হবে। কারণ, রেনান লোদি ফিরমিনোকে ক্রস দেয়ার আগে বল পেয়েছিলেন রেফারির কল্যাণে।নেইমার বল পাস দিলে সেটা গিয়ে থেমে রেফারির গায়ে লেগে।

সেখান থেকেই বল পেয়ে যান রেনান লোদি। অথচ, রেফারি তার গায়ে লাগার পরই বল থামিয়ে দেয়ার কথা। তা না করে তিনি খেলা চালিয়ে যান। কলম্বিয়ার ফুটবলাররা এখানেই আপত্তি তোলে। এ নিয়ে রেফারির কাছে দাবি জানাতেই থাকে তারা। রেফারিও নাছোড়বান্দা। নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। এ নিয়ে খেলা ৫-৬ মিনিট বন্ধ থাকে। শেষ পর্যন্ত রেফারির সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও বেশ অসন্তুষ্ট চিত্তেই খেলতে দেখা যায় তাদের। খেলার এই সময়টা নষ্ট হওয়ার কারণে ইনজুরি টাইম বাড়িয়ে দেয়া হয় ১০ মিনিট। খেলা শেষ হওয়ার একেবারে শেষ মুহূর্তে ৯০+১০ মিনিটে আবারও গোল করে ব্রাজিল।

এবার ডান পাশের কর্নার থেকে কিক নেন নেইমার। সেই কিকে ভেসে আসা বলে দুর্দান্ত হেড করেন ক্যাসেমিরো। তার এই হেডেই কাঁপিয়ে দেয় কলম্বিয়ার জাল। ২-১। ১০০ মিনিটে ক্যাসেমিরোর গোলের পর ব্রাজিলিয়ানদের উল্লাস ছিল দেখার মত। সবাই মাঠে নেমে গোল হয়ে যেভাবে উদযাপন করেছে, তাতে মনে হয়েছে চ্যাম্পিয়নই হয়ে গেছে তারা। মূলত ম্যাচের যে পরিস্থিতি ছিল, তাতে এমন একটি গোল এবং জয়ের পর বাঁধভাঙা উল্লাসই ছিলো এর প্রধান কারণ।

পোষ্টটি লিখেছেন: Staff Reporter

এই ব্লগে 250 টি পোষ্ট লিখেছেন .

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *