২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের তৃতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। গত রোববার (২৭ জুন) তৃতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হয়। লকডাউন এলাকার শিক্ষার্থীদের সুবিধাজনক সময়ে অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ ও জমা দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।

অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন নির্দেশনায় অধিদপ্তর বলছে, করোনার কারণে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারেনি এবং তাদের মূল্যায়ন করা যায়নি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে এনসিটিবি ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি পুনর্বিন্যাস করেছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পুনর্বিন্যাস করা পাঠসূচির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রম সম্পৃক্তকরণ ও ধারাবাহিক মূল্যায়নের আওতায় আনয়নের জন্য এনসিটিবি বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন নির্দেশনাসহ (রুবিক্সসহ) অ্যাসাইনমেন্ট প্রণয়ন করেছে।

অধিদপ্তর আরও বলছে, অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের মাধ্যমে তাদের অর্জিত শিখনফল নির্ণয় করা হবে। পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সপ্তাহভিত্তিক শিক্ষার্থী মূল্যায়ন বিবেচনায় নিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট প্রণয়ন করা হয়েছে।

অধিদপ্তর আরও বলছে, অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের মাধ্যমে তাদের অর্জিত শিখনফল নির্ণয় করা হবে। পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সপ্তাহভিত্তিক শিক্ষার্থী মূল্যায়ন বিবেচনায় নিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট প্রণয়ন করা হয়েছে। সপ্তাহের শুরুতে শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমা দিয়ে নতুন অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ করবে।

শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে দেওয়া নির্দেশনায় অধিদপ্তর আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের বলছে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চিত করতে হবে। লকডাউন চলমান থাকলে অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ ও জমার ক্ষেত্রে সেই আলোকে ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিতে হবে। অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। মূল্যায়নের শেষে শিক্ষার্থীদের সাফল্য ও দুর্বলতা চিহ্নিত করে শিক্ষকেরা যে সুনির্দিষ্ট মন্তব্য করছেন, তা পরিবীক্ষণ করতে হবে, প্রয়োজনে শিক্ষকদের কাছ থেকে মূল্যায়নের ব্যাখ্যা নিতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান মূল্যায়নের রেকর্ড নির্ধারিত ছক অনুসারে সংরক্ষণ করেছেন কি না, তা–ও পরিবীক্ষণ করতে বলা হয়েছে আঞ্চলিক পরিচালকদের।

শিক্ষার্থীদের অতি উত্তম, উত্তম, ভালো ও অগ্রগতি প্রয়োজন ইত্যাদির মাধ্যমে অ্যাসাইনমেন্টগুলোর শাব্দিক মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছে শিক্ষকদের। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের সবল ও দুর্বল দিকগুলো খাতায় চিহ্নিত করে তা লিপিবদ্ধ করতে বলা হয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের নোট-গাইড দেখে অ্যাসাইনমেন্ট করতে নিষেধ করেছে অধিদপ্তর। নোট–গাইড দেখে অ্যাসাইনমেন্ট করা হলে তা বাতিল করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আবারও সেই অ্যাসাইনমেন্ট করে জমা দিতে হবে।

পোষ্টটি লিখেছেন: Staff Reporter

এই ব্লগে 250 টি পোষ্ট লিখেছেন .

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *