সাঘাটায় এন জি ও র নামে বিভিন্ন প্রকল্পের নাম ব্যবহার করে সার্কুলার দিয়ে চাকুরি দেওয়ার প্রোলভনে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গাঢাকা দেওয়ার পায়তারা। জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি।
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় বাদিয়াখালী দুঃস্থ মাতা মহিলা সমিতির নামে বিভিন্ন প্রকল্পর নামে ও সার্কুলার দিয়ে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, বাদিয়াখালী দুঃস্থ মাতা মহিলা সমিতি যার রেজি নং MBA678/88,NGO Bureau No-865/94 হেড অফিসঃ মথরপাড়া, মাদারদহ বাজার, সাঘাটা, গাইবান্ধা। জেলা অফিসঃ ডি,এইচ রোড,পশু হাসপাতাল লেন,বানিয়ারজান,সদর, গাইবান্ধা, ব্যবহার করিয়া নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর ইসলাম পিতাঃ মোঃ তছলিম উদ্দীন গ্রামঃ মথরপাড়া পোঃউল্ল্যাসোনাতলা,উপজেলাঃসাঘাটা জেলাঃগাইবান্ধা। বিভিন্ন প্রকল্প তথাঃ- Covid19,ঝরে পড়া শিশুর শিক্ষা বিষয়ক স্কুল, প্রতিবন্ধি,জেনেভা,গাভী ঋণ প্রকল্প, উন্নত চুলা,ত্রান সহায়তা সহ আরও অন্যান্য প্রকল্পের নামে সার্কুলার দেখিয়ে গাইবান্ধা,চাপাই, রংপুর,পঞ্চগড়,ঠাকুরগাঁও সহ বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। ভুক্তভোগীরা জানান, নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর ইসলাম উক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে প্রকল্প পরিচালক (সার্বিক) , প্রকল্প পরিচালক, প্রোগ্রাম ম্যানেজার নামক জেলা ও থানা পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা নিয়োগ প্রদান করে তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন প্রলভোন দিয়ে কর্মকর্তাদের জাবিন রেখে বিভিন্ন প্রকল্পের নামে নন জুডিশিয়াল ষ্ঠ্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ডিড করে দেয় এবং বিভিন্ন পদে চাকরির নামে নির্দিষ্ঠ সময় দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয় । সময়ের কালক্রমে নির্দিষ্ট সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর ভুক্তভোগী জনগণ নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর ইসলাম এর নিকট কাজ চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন কাজ দিতে পারবোনা , আরও সময় লাগবে, যারা টাকা নিয়েছে,আপনারা যাদের টাকা দিয়েছেন তাদের নিকট থেকে টাকা ফেরত নেন বলে সবাইকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়ে হয়রানি করছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই প্রতিনিধিকে জানান,আমাদেরকে মোটা অংকের বেতনের কথা বলে নিয়োগ দিয়েছে , আমরা জাবিনদার হয়ে বিভন্ন এলাকা থেকে টাকা এনে আলমগীর কে দিয়েছি। কিন্তু আমাদেরকে টাকার কোন ডকুমেন্টস না দিয়ে সুকৌশলে সমস্ত টাকা কুক্ষিগত করে রেখেছেন এবংনিজের কাজে খরচ করছেন। আমাদেরকে প্রায় এক বছর দায়িত্ব পালন করে নেয় এবং আমাদের কোন পারিশ্রমিক দেয় নি। এই প্রতিষ্টানের যত কর্মকর্তা,কর্মচারী আছে তাদের কোন বেতন, বোনাস ও অন্যান্য কোন সুযোগ সুবিধা না দিয়ে নানা ভাবে হয়রানি করছে এবং তারা আরও বলেন, যে কর্মকর্তা / কর্মচারী বেতনের জন্য তড়িঘড়ি করে তাদের নিয়োগ পত্র অস্বীকার করে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে দমিয়ে রাখে যাতে আর কেহ বেতন চাইতে সাহস না পায়, এবং যেকোনো সময় এই নির্বাহী অফিসার এলাকা ছেড়ে চলে যেতে পারেন আমরা অনুমান করছি।
এবিষয়ে নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর ইসলামের সঙ্গে কথা বল্লে তিনি বলেন, আমি লোক নিয়োগ দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, চাকুরি করতে হলে কিছু খরচ করতে হয়। এক পর্যায়ে তিনি আরও বলেন, জীবনে অনেক সাংবাদিক দেখেছি টাকা দিয়ে সবাইকে ম্যনেজ করেই চলি। প্রতি মাসে প্রশাসনকে ম্যনেজ করেই চলতে হয়। আরও জানা যায়, এই নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর ইসলাম বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ছাত্রমৈত্রীর সক্রিয় কেন্দ্রীয় নেতা ও ডেপুটি স্পিকার এ্যাডঃ ফজলে রাব্বি এমপির নিকট তম আত্মীয় দাবী করেন।
কে এই আলগীর ইসলাম, এর খুটির জোর কোথায়?
বাদয়াখালী দুঃস্থ মাতা মহিলা সমিতির নামে নিজেকে নির্বাহী পরিচালক পরিচয়ে নিয়োগ বিঞ্জপ্তি দিয়ে কর্মচারী নিয়োগের নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, হয়রানি, সময় ক্ষেপণ সহ সংগঠনের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে শত শত যুবক ও যুব রানী কে কর্মের নামে সর্বশান্ত করার এই ভন্ড,প্রতারক মোঃ আলমগীর ইসলামকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও এলাকার সচেতন মহল।