ভুঁড়ি (Tripe) হচ্ছে বিভিন্ন প্রাণীর পেটে থাকা এক ধরনের আস্তরণ যা খাওয়া যায়। বেশিরভাগ ভুঁড়ি গরু ও ভেড়া থেকে আসে। আমাদের দেশে গরুর ভুঁড়িই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। গরুর ভুঁড়ি হিসেবে সাধারণত গরুর পেটের ভিতরের মিউকোসাল আস্তরণ সরানোর পর প্রথম তিনটি স্তরকে বুঝায়। এগুলো হলো: রুমেন, রেটিকুলাম, ওমসাম। তবে এই ভুঁড়িতে নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে, তাই খাওয়ার আগে অবশ্যই ভুঁড়ি সিদ্ধ করে নিতে হবে।

গরুর ভুঁড়িতে আছে নানা ধরনের খনিজ পুষ্টি উপাদান। এগুলো হলো : আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম। প্রত্যেকটি উপাদানই মানব শরীরের জন্য উপকারী। এছাড়াও ভুঁড়িতে আছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাট নামক দুই ধরনের ক্ষতিকর ফ্যাট। প্রতি ১০০ গ্রাম ভুঁড়িতে আছে ৩.৬৯ গ্রাম ফ্যাট, ১২.০৭ গ্রাম প্রোটিন ও ১৫৭ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। একজন সুস্থ মানুষ দিনে ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল খেতে পারেন, তাই ১০০ গ্রাম ভুঁড়ি খাওয়া একজন সুস্থ মানুষের জন্য নিরাপদ।

অন্যদিকে, একজন হার্টের রোগী দিনে ২০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল খেতে পারেন। অর্থাৎ হার্টের রোগী দিনে ১০০ গ্রাম ভুঁড়ি খেলে তা কোলেস্টেরল গ্রহনের নিরাপদ মাত্রার ৭৯% চলে আসে। তাই ভুঁড়ি খেলেও তা পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। সবাইকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা।

পোষ্টটি লিখেছেন: Staff Reporter

এই ব্লগে 250 টি পোষ্ট লিখেছেন .

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *