করোনা মহমারীর মধ্যে বিধি নিষেদ অমান্য করে গত ৩০শে জুলাই গার্মেন্টস মালিকরা জরুরী ভাবে কারখানায় আসার নির্দেশনা জানায়।

গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

সাক্ষাৎ শেষে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমরা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। যে লকডাউন চলছে তা থেকে সব ধরনের শিল্প-কারখানা যেন আওতার বাইরে রাখা হয়, সে অনুরোধ করতে এসেছি।

শুধু গার্মেন্টস নয়, সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতির জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আবারো অনুরোধ করেছি, এটাকে যেন লকডাউনের বাইরে রাখা হয়। সবকিছু বিচার বিবেচনা করে আমরা এ অনুরোধ জানিয়েছি।

গত ১৮ জুলাই থেকে শ্রমিকদের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলেও জানান বিজিএমইএ সভাপতি। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি শ্রমিককে টিকা দেওয়া হয়েছে। যারা ফ্যাক্টরির আশেপাশে থাকেন তারা টিকা দিতে নিরাপদ অনুভব করেন, গ্রামে থাকলে টিকা দিতে চান না।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকলে সমস্যা হচ্ছে সাপ্লাই চেইনটা ভেঙে যাচ্ছে। তাই আমরা মনে করি ইন্ডাস্ট্রি খুলে দেওয়া দরকার। সেজন্য সেটা বলতে এসেছি এবং এটি দাবি জানিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক অনেক দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছি। এই সময় যদি লকডাউনে সবকিছু বন্ধ রাখি তাহলে বাজার হারানোর একটা শঙ্কা থাকবে।

জনগণের দাবী , লকডাউনের মাঝে এই শ্রমিকরা প্রায় ৩০০-৩৫০ কিমি পথ কেমনে পারি দিবে? তাই দ্রুত যানবাহন খুলে দিতে হবে না হলে লকডাউন বাড়াতে করতে হবে।

 

পোষ্টটি লিখেছেন: Staff Reporter

এই ব্লগে 250 টি পোষ্ট লিখেছেন .

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *