আজ ৩০ -০৭-২০২১ রোজ শুক্রবার বাঁধন কেন্দ্রীয় কমিটি ভার্চুয়ালি ভাবে বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২০-২১ ও দায়িত্ব হস্তান্তর ২০২১-২০২১ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাঁধন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম অনিক এবং সভাপতিত্ব করেন বাঁধন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মশিউর রহমান সূর্য।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ আখতারুজ্জামান উপাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল জব্বার উপ-উপাচার্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও আমজাদ হোসেন অধ্যক্ষ রংপুর কারমাইকেল কলেজ এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাঁধন কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলী সহ সকল কেন্দ্রীয় সদস্য বৃন্দ।
★একের রক্ত অন্যের জীবন রক্তই হোক আত্মার বাঁধন ★ এই স্লোগান কে সামনে রেখে ১৯৯৭ সালে এই সংগঠন এর প্রতিষ্ঠা হয়। বাঁধন কেন্দ্রীয় কমিটি, জোন, ইউনিট, পরিবার ধাপে ধাপে সাজিয়ে উঠেছে সমগ্র বাংলাদেশে। মানবতার আরেক না বাঁধন, বর্তমান সময়ে করোনা মহামারিতে মানুষ যখন নিজের জীবন নিয়ে হিমসিম সেখানে বাঁধনের নেতা কর্মীরা এগিয়ে যাচ্ছে দূর্বার, কখনো মানুষকে রক্ত দিয়ে কখনো রক্ত সংগ্রহ করে কখনো গরীব মানুষের মাঝে ইদ সামগ্রী নিয়ে হাজির হচ্ছে মানুষের জন্য।
কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়, সেখানে সেলিম রেজা কে সভাপতি ও শাহ নেওয়াজ হোসেন কে সাধারণ সম্পাদক করে ৪৩ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন প্রতিষ্ঠা কালীন সময় থেকেই বাঁধন ব্লাড সংগ্রহ সহ নানা রকম সামাজিক সেবা মূলক কাজ করে যাচ্ছে। পড়াশোনার পাশাপাশি এই রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে থাকলে একজন শিক্ষার্থী ব্যাক্তিত্ব গঠন ও সামাজিক মূল্যবোধ সহ দায়িত্ববোধ শিখতে পারবে যা একজন শিক্ষার্থীকে প্রকৃত মানুষ অর্থে গড়ে তোলে।
এই সংগঠনের ঢাবি জোনের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ইউনিট এর সহ- সভাপতি আবু হুরাইরা আতিক এর কাছে সরাসরি সংগঠন সম্পর্কে জানতে গেলে তিনি আমাদের বলেন, ′একের রক্ত অন্যের জীবন রক্তই হোক আত্মার বাঁধন ′ এই স্লোগান কে ধারণ করে ১৯৯৭ সাল থেকে আজ অবধি বাঁধন আর্ত মানবতার সেবা দিয়ে যাচ্ছে। মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য একজন মুমূর্ষ অসহায় মানুষকে যখন সামান্য রক্তের ব্যাবস্থা করে দিয়ে যখন একটি মহামুল্যবান জীবনের রক্ষা করা হয় তখন নিজেকে পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা সন্তুষ্ট মানুষ মনে হয়। আর এই মানব সেবায় সবাই এগিয়ে আসলেই একটি মানবিক সমাজ নির্মান করা যাবে।