শিক্ষার্থীদের কথার শব্দে  ক্ষিপ্ত হয়ে ১০ শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন এক শিক্ষক।
এমন আভিযোগ পাওয়া গেছে ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া গ্রামের কে এ খান হাফেজি মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহর বিরুদ্ধে।

শনিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, সরকারি বিধি-নিষেধ অমান্য করে কে এ খান হাফেজি মাদরাসা খোলা রাখা হয়। একমাত্র শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ মাদরাসা খোলা রেখে ওই প্রতিষ্ঠানে পাঠদান করাতেন। শনিবার বিকেলে তিনি মাদরাসায় ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করছিল। তাদের কথার শব্দে ওই শিক্ষকের ঘুম ভেঙে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি দরজা আটকে ১০ শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করেন। শিক্ষার্থীরা ব্যথায় কান্নাকাটি করলে তাদেরকে কক্ষে আটকে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষক মো. উল্লাহ। মারধরের বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য সব শিক্ষার্থীকে ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

সন্ধ্যায় নামাজের সময় পালিয়ে সিয়াম নামের এক শিক্ষার্থী স্থানীয় পোনাবালিয়া বাজারে যায়। এ সময় সে কাঁদতে থাকে। বাজারের লোকজন তার কাছে কারণ জানতে চাইলে সিয়াম ঘটনা খুলে বলে। পরে স্থানীয়রা আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।

খবর পেয়ে শনিবার রাতে ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশ মাদরাসা থেকে শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহকে আটক করে। ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ দাবি করেন, পড়া না পারায় তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

পোষ্টটি লিখেছেন: Staff Reporter

এই ব্লগে 250 টি পোষ্ট লিখেছেন .

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *