দেশে ফাইভ-জি হাতছানি দিচ্ছে। এর আগে বেশ কয়েকবার তবে নতুন খবর হলো ফাইভ-জি সেবা দিতে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নে ২ হাজার ২০৪ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিটক। এর মধ্যে সরকার দেবে ২ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা। বাকি ৬০ কোটি টাকা বহন করবে টেলিটক নিজে।

শুধু নেটওয়ার্ক উন্নত হলেই তো হবে না। সেই নেটওয়ার্ক ব্যবহারের জন্য ডিভাইসও উন্নত হতে হবে। বিশ্বের অনেক দেশে এরই মধ্যে ফাইভ-জি চালু হয়ে যাওয়ায় স্মার্টফোন তৈরির প্রতিষ্ঠানগুলোও ফাইভ-জি–সমর্থিত স্মার্টফোন বাজারে ছাড়া শুরু করেছে। সে সুযোগে বাংলাদেশেও কিছু ফাইভ-জি–সমর্থিত স্মার্টফোন পাওয়া যায়।

তবে শিরোনামে করা প্রশ্নের উত্তর হলো, সে সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ, বাজারের বেশির ভাগ স্মার্টফোন বড়জোর ফোর-জি সমর্থন করে। অনেক স্মার্টফোনে তো সে সুবিধাও নেই। তবে মনে যদি প্রশ্ন থাকে যে আপনার স্মার্টফোনটি ফাইভ-জি–সমর্থিত কি না, নিচের পদ্ধতি মেনে তা দেখে নিতে পারেন।

আধুনিক ক্লাস চ্যানেল

 

অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের বেলায়

সেটিংস থেকে দেখে নেওয়ার সুযোগ আছে আপনার অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমচালিত স্মার্টফোন কোন কোন ধরনের নেটওয়ার্ক সমর্থন করে। এ জন্য সেটিংস অ্যাপে গিয়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক খুঁজতে হবে। কিছু সংস্করণে সেটা ওয়াই-ফাই অ্যান্ড নেটওয়ার্কসে পাওয়া যাবে। কিছু ক্ষেত্রে কানেকশনস থেকে মোবাইল নেটওয়ার্কে। আমার ফোনে দেখাচ্ছে সেলুলার নেটওয়ার্কস হিসেবে। এরপর প্রিফার্ড নেটওয়ার্ক টাইপে ট্যাপ করলে সর্বোচ্চ কোন নেটওয়ার্ক পর্যন্ত সমর্থন করে, তা দেখাবে। বর্তমানে আমার ফোনে যেমন টু-জি, থ্রি-জি ও এলটিই দেখাচ্ছে। অর্থাৎ ফোর-জি পর্যন্ত সমর্থন করে এটি, ফাইভ-জি নয়।

চিরকুট লিখে প্রেমিকার আত্মহত্যা : প্রেমিক জেলে

 

আইফোনের বেলায়

অ্যাপলের স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে কেবল আইফোন ১২ সিরিজ ফাইভ-জি সমর্থন করে। অর্থাৎ আপনার হাতের আইফোনটি যদি আইফোন ১২, আইফোন ১২ প্রো, আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স কিংবা আইফোন ১২ মিনি মডেলের হয়ে থাকে, তবেই সেটিতে ফাইভ-জি চলবে। আসন্ন আইফোনগুলোতে ফাইভ-জি থাকবে বলে ধরে নেওয়া যায়, তবে আইফোন ১১ বা তার আগেরগুলোতে নয়। তবে অন্যান্য ভার্সনের ফোনেও চলবে তবে, সব ফোনেই নয়।

পোষ্টটি লিখেছেন: admin

এই ব্লগে 152 টি পোষ্ট লিখেছেন .

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *