রংপুরেরডাক ফাইল ছবি
জীবনে ছুটে চলার পথে হাজারো বাধা বিপত্তি কাটিয়ে আজ পা রাখতে চলেছি সফলার শীর্ষে। আজ আমি অর্জন করেছি সফলতার চাবি।পরিশ্রম, সাধনা অার চেষ্টায় যে সব কিছু জয় করা যায় তা আজ আমি প্রমাণ করছি।জীবনে সাফল্য লাভের চ্যালেন্জ নিয়ে শুরু করছি বিজনেস, আজ অামি সফল বিজনেসম্যান হিসেবে অর্জন করেছি “best business awad of bangladesh.” আমার অর্জনে সবাই খুশি তাই সাবার আনন্দ অারো বাড়াতে পরের দিনে অফিসে পার্টির অায়োজন করি।সবাই মিলে বেশ আনন্দ করে পার্টিতে, পার্টি শেষে বাড়ি ফিরি,হুম এতক্ষন তো শুনলেন আমার সাফল্যর কথা কিন্তু সফল মানুষ টার সাথে পরিচয় হবেন না, চলুনন এবার পরিচয় পর্ব সেরে নিয়,আরাফাত নাঈম বাংলাদেশের একজন সফল বিজনেসম্যান।অার বাকি পরিচয় গল্পের মাঝে পেয়ে যাবেন। নাঈম:ড্রাইভারর কি হলো?
ড্রাইভার: স্যার মনে হয় গাড়িতে সমস্য দেখা দিছে।
নাঈম: ওকে,গাড়ি ঠিক করে বাসায় চলে এসো আমি হেটেঁ যাচ্চি।
তারপর হেটেঁ হেটেঁ বাড়ির দিকে রওনা দিলাম, হটাৎ যেন কিসের সাথে ধাক্কা খেলাম।আমার ফিটনেস ভালো থাকার কারনে আমি পড়ি নি কিন্তু যার সাথে ধাক্কা খেয়েছি সে কিন্তু ঠিকই পড়েছে,অামি নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে যেই নিচের দিকে তাকিয়েছি অামি পুরোই ফিদা এটা মেয়ে নাকি অন্য কিছু যেন অাকাশ থেকে কোনো পরী নেমে এসেছে, দেখতে মাশাআল্লাহ সেই সুন্দরী। কিন্তু মেয়েটা উঠে যা করল তা অামার ভাবনার বাইরে ছিল।
মেয়েটা উঠে যা করল তা অামার ভাবনার বাইরে ছিল। সে উঠে তার যা ইচ্চা তাই বলল, ভাবচেন কী বলল,বলল
মেয়েঃ লুচু,বান্দর,,হনুমান দেখে রাস্তা চলতে পারিস না, উজভুক কোথাকার মেয়ে দেখলে শুধু গায়ে পড়তে ইচ্চা করে।
তার এ সব কথা শুনে অামার পচন্ড রাগ হয়,অার রাগ কন্টোল করতে না পেরে সুন্দরীর সুন্দর গাল কষিয়ে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিয়,সেই সাথে বলি
নাঈমঃ হুম নিজেকে কী ভাবেন রানী ভিক্টোরীয়া,অামার কী অার খেয়ে দেয়ে কাজ নেই যে অাপনার মত পেত্নীর গায়ে পড়ব।
মেয়েটির মুখে আর কোন কথা নেই। অনেক রাগ পুষতে পুষতে বাড়ি চলে এলাম, বাড়িতে এসে খাওয়া দাওয়া করে পরের ডিল এর জন্য সমস্ত ফাইল ঘুচিয়ে নিয়।এ ডিলটা আমার জন্য খুবই জরুরী এটা আমার পাওয়া সকল ডিল এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ডিল হবে।ডিলের কাজ করে অামি ঘুমাতে গেলাম,কিন্তু চোখ বন্ধ করলেই ভেসে উঠে ওই মায়াবি মুখ খানি।কী সুন্দর তার চেহারা, রাগলে তো সেই লাগে যে কেউ দেখলে ক্রাশ খাবে।কিন্তু মেয়েটার বকবক আর অহংকার দেখে আমার প্রচন্ড রাগ হয়,রাগকে কন্টোল করতে না পেরে থাপ্পর দিয়ে ছিলাম, আর মেয়েদের এই একটা সমস্য তারা নিজেদের ভুল স্বীকার করতে রাজি নয়,অন্যর উপর কী ভাবে চাপিয়ে দেওয়া যায় তা পারে।
পরের দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে জীমে গেলাম, তারপর বাড়ি ফিরে নাস্তা করে অফিসে উদ্দেশ্য রওনা হলাম।অফিসে যাওয়ার পথে মেয়েটার সাথে দেখা, হয়ত গাড়ির জন্য দাড়িঁয়ে অাছে, তাই অামি গাড়ি থামালাম, অামাকে দেখে মেয়েটা তার গালে হাত দিল,অামার অার বুঝতে বাকী রইলনা যে মেয়েটা ওই দিনের কথা এখনো বুলতে পারে নি।
নাঈম:কোথায়ও যাচ্চেন?
মেয়েটি: হুম।
নাঈম:গাড়িতে উঠুন অাপনাকে দিয়ে আসি?
মেয়েটি:তার প্রয়োজন নেই।(একটু অভিমানী সুরে)
নাঈম: উঠতে বলছি উঠ। [রাগী কন্ঠে]
মেয়েটি পেচনের সিটে বসতে যাবে তখন
নাঈম: এইযে ম্যাডম সামনে সিট থাকতে পিচনে কেন বসছেন।
মেয়েটি: [উজভুক, ডেভিল কোথাকার তুই নিজেকে কি মনে করিস তুই যা বলবি আমাকে কেন তা শুনতে হবে হবে]
নাঈম: কি হলো? [ধমক দিয়ে]
ভয়ে ভয়ে এসে বসল,এই প্রথম যাকে দেখে আমি চোখ পেরাতে পারি নি,সেই কলেজ লাইফ থেকে নিজের বডি ফিটনেস আর কারিকুলাম একটেবিটিস ভালো থাকায় জন্য অনেক মেয়ের প্রোপজ পেয়েছি কিন্তু সফলার নেশায় সেদিকে খেয়ালই করি নি, এখন আমি সফল মানুষ,সফলতার জন্য অনেক ভালো পরিবার থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসে আমি সব ফিরিয়ে দিয়।কিন্তু এই মেয়েটিকে দেখার পর কি হলো আমি নিজেও জানিনা, প্রথম দেখাতে ওর প্রেমে পড়ে যাই
আচ্চা এখনো তো মেয়েটা নাম জানা হয়নি চলুন সুন্দরির নাম টা জেনে নেওয় যাক
নাঈম: নাম কী তোমার?
আমাদের সাথে থাকতে ফলো করুন : ক্লিক করুন
মেয়েটি:(চুপ)
নাঈম: কানে যাচ্চে না।(রাগী ভাবে)
মেয়েটি: সামিয়া আফরিন কেয়া ।
নাঈম: কী করেন?
কেয়া:মেডিকেল ১ম বর্ষ।[আল্লাহ তুমি কেন যে আবার এর সাথে আমার দেখা করাইলা,কথাই কথাই শুধু রাগ দেখাই]
নাঈম:কোন মেডিকল?
কেয়াঃঢাকা মেডিকেল?
নাঈম: এখন কই যাচ্চেন?
কেয়া: মেডিকেলের একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচতে হবে, তাই প্র্যাকটিস করতে যাচ্চি।;;;[কতকিছু জানতে মন চাই,আর কিছু জানতে চাস, তোরে ভাগে পাই তার পর মজা দেখাব আমি কি জিনিস]
নাঈম:আপনি নাচতে পারেন!
কেয়া: কেন? আপনার কী মনে হয়! (বেশ রাগী চোখে)
নাঈম: আমরা মনে হয় চলে এসেছি?
কেয়া: হুম,ধন্যবাদ।{যাক বাঁচা গেল এই রাক্ষসেরর হাত থেকে}
নাঈম: আসি, আশা করি খুব শীঘ্রই দেখা হবে।
নাঈম কেয়াকে তার নৃত্যকলা একাডেমিতে নামিয়ে দিয়ে এই চলে গেল কারন আজ যে তার আবার আরেক টা ডিল এর কন্টাক্ট রয়েছে…..
কেয়া: [আমার বয়ে গেছে তোর সাথে দেখা করতে,তোর সাথে দেখা না হলেই ভালো] মনে মনে বলল।
তিন্নি:কীরে বয়ফ্রেন্ড জোগার করলি আর ট্রিট দিলি না, যা তোর সাথে কথা নাই।
কেয়া: ওরে শাকচ্ছুনী আমার কী সুখের জীবনে আগুন লাগছে যে ওরে বয়ফ্রেন্ড বানাবো।
তিন্নি: আসলে তোর সুখের জীবনে আগুন লাগছে না হয় কেউ এমন সুন্দর, হ্যান্ডসাম ছেলে ইগনর করে।
কেয়া: প্রেত্নী, লুচু তঁর মন চাইলে তুইনা কর না, করলে বুঝবি ঠেলা
নাফিশা:এই তোরা থামবি তাড়াতাড়ি প্রেকটিস শেষ করে নে বিকেলের আগে অনুষ্ঠানে পৌঁচাতে হবে।<br>
আর অপর দিকে নাঈম কোম্পানিটির সাথে ডিল ফাইনাল করল,এখন সে মহা খুশি।
তাহিন: স্যার, আমার মনে হয় আমাদের সকল ডিলের মধ্যে এটা সবচেয়ে বড় ডিল।
নাঈম: এই তোকে না বলছি আমায় স্যার বলবি না (একটু রাগী কন্ঠে)
নাঈম এবং তাহির ওরা খুব ভালো বন্ধু।তাহির ও নাঈমের মত বেশ পরীশ্রমী, তাহির আগে বেশ বড় একটা বিদেশি কম্পানিতে কাজ করত,কিন্তু কোন এক অজানা কারনে সে ওই কাজটি ছেড়ে দিতে হয়, নাঈমের কথায় সে এই কম্পানিতে জয়েন করে।
তাহির: আমার ভুল হয়ে গেছে আর ভুল হয়ে গেছে আর বলব না।
তাহিরে কথা শেষ না হতে রুমে প্রবেশ করল নাঈমের মামা।
মামা: আসতে পারি?
নাঈম: তোমার আবার অনুমতির প্রয়োজন আছে নাকি?
মামা: কারো রুমে প্রবেশ করতে অনুমতির প্রয়জন হয়।[মামা কারো রুমে বিনাঅনুমতিতে প্রবেশ করা দেখতে পারেনা ]
মামা: শুন নাঈম,আমি তো আজ অফিসের কাজে বিদেশে যাব,তুই আমার হয়ে একটু আজকের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকিস,প্রিন্সিপাল স্যার অনেক অনুরোধ করেছে।
নাঈম: তাহলে তুমি থাক আমি বিদেশ যাই।
মামা: না থাক এমনিতে তুই অনেক পরীশ্রম করছিস এখন বিশ্রাম নে আর সন্ধ্যা অনুষ্ঠানে চল যাবি, আমি গেলাম।
নাঈম: আচ্চা আমি যাব,আর তুমি পৌঁচে ফোন দিবে।[আমি তো যাবই কারন ]আশা করি সাবাই বুঝে গেছেন কারন টা…
নাঈমের বাবার বিজনেস এটা তার বাবার মৃত্যুর পর আজ ১২ বছর তার মামা এটা দেখে রেখেছে। তিনি সকল কাজ নিজেই করে রাখেন যাতে নাঈমের উপর চাপ সৃষ্টি না হয়।
সন্ধ্যা বেলা,
নাঈম তাহির কে কল করেছে,
নাঈম: তাহির কই তুই?
তাহির : বাসায়,কেন?
নাঈম:রেডি হয়,অনুষ্ঠানে চলে আয়।
তাহির: আচ্চা আসছি।
নাঈম গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ল,অল্প সময়ের মধ্যে সেখানে পৌঁচে গেল। ইতি মধ্যে তাহিরও পৌঁচে গেল,তারা উভয় রওনা দিল অনুষ্ঠানেরর দিকে..
প্রিন্সিপাল: আসুন মি. আরাফাত, আসুন, এখানে বসুন।
নাঈম এবং তাহির অথিতীদের আসনে বসল,;:;
নাঈমকে দেখেতো পুরো কলেজের মেয়েরা ফিদা হয়ে গেছে, মাসাল্লাহ কী সুন্দর চেহারা, বেশ হ্যান্ডসাম।
আর ওই দিকে তো আরেক জনের ও আরও সিরিয়াস অবস্থা…
(হয়ত এতক্ষনে বুঝে গেছেন সে কে) হুম, আপনারা যার কথা ভাবছেন সেই কেয়া।
কেয়া::: দেখ কী সুন্দর লাগছে না। ( ঘোরে থেকে)
তিন্নি::: কি বললি?(অন্য মন্সকো থাকার কারনে ভালো ভাবে শুনতে পারে নি)
কেয়া::: না কি….
কেয়া কিছু বলতে যাবে তখন ই নাফিশা হাজির…
নাফিশা::: চল স্যার ডাকছে।
অন্য দিকে নাঈম তো কেয়া চোখে হারাচ্চে এই বিষয় এড়ায় নি তাহির এর।
তাহির:: কিরে কাউকে মিস করছিস।
নাঈম:::কই না তো!! ঘোর কেটে।
তাহির:: আমার চোখ পাকী দিবি না।
নাঈম::: আরে কিছু না।
স্যার ::আজ কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করবে এ কলেজেরই কৃতিছাত্রী কেয়া।
নৃত্য শুরু হয়ে গেছে, নাঈম একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে কেয়ার দিকে। নৃত্য হচ্চে কিন্তু মাঝপথে ঘটল ঘটনা…… নৃত্যএক পর্যায়ে কেয়া নিজের উপর ব্যালেচ রাখতে না পেরে যখনই পড়ে যাবে তখনই আমাদের হিরো তাকে ধরে পেলে, কিন্তু কেয়া পড়ে যায় নাঈমের গায়ের উপর।অপলক ভাবে তাকিয়ে আচে একে অপরের দিকে তাদের এই দৃষ্টিতে বেদ ধরাল নাফিসা……
নাফিসা::: কিরে তুই উঠবি।
কেয়া ওঠেতো দৌড় খুব লজ্জা পেয়েছে…
নাফিশা:: নে মুচে নে।(নাঈমকে উদ্দেশ্য করে)
নাঈম:: কী মুচবো!!!( হয়ত ভাবছেন নাঈমের সাথে নাফিশার কি সম্পক, জানতে হল চোখ এবং মন আমার গল্পে)
নাফিসা::: গাল, তোমার গাল।
নাঈমের আর বুঝতে বাকী রইল না কি হয়েছে, আর তার চার পাশের মানুষ কেন হাসছে, আপনারাও এই সামান্য ব্যাপার বুঝলেন না কেয়া যখন নাঈমের গায়ে পড়ে তখন তার গাড়ো লাল লিফস্টিক দেওয়া ঠোট নাইমের গালে লেগে যায় আর তা মুচতে বলছিল।
তারপর অনুষ্ঠান শেষ সবাই সবার বাড়ি চলে যায়। নাঈম তাহিরকে বাড়ি পৌচেঁ দিতে যায়।
তাহির:::: কীরে এভাবে মেয়েটার কথা ভাবতে লাগলে গাড়ি এক্সিডেন্ট হয়ে যাবে তো।
নাঈম:::: তোরে কে বলল যে আমি তাকে নিয়ে ভাবছি??
তাহির::: সত্যি মেয়েটা খুব সুন্দর, মনে হয় ভালো ও।
নাঈম::: বাহ, একদেখাতে তোর এটা মনে হলো আমি কী তা তানিশা কে বলবো।
তাহির::: এখানে আবার তানিশা আসলো কোথা থেকে। (তানিশা তাহির এর gf, তাহির তাকে খুব ভয় পায়)
নাঈম::::
তাহির :::: আচ্চা তুই যে মেয়ে টা পচন্দ করিস তা কি সে জানে।
নাঈম::: জানতো যদি তার সাথে আমার পরিচয় ভালোভাবে হত।
তাহির::: এই এই!! তুই ওই দিন যে মেয়ের উপর রাগ করে ছিলি এই কি সে।
নাঈম::: তোর বাসা চলে আসছে।।
তাহির :::: যাই, আর ওর…

নাঈম তাহির কে বলার সুযোগ না দিয়ে গাড়ি টানদিল গাড়ি চলছে নিজ গতিতে আর নাঈম ভাবছে বাড়ি গেলে না জানি আবার কী হয় মেয়েটার পেটে তো আবার কোন কথা থাকে না….নাঈম বাসায় গিয়ে পৌচঁল….

বাসায় পৌঁচাতে তার ভাবনার বর্হি প্রকাশ ঘটল, নাফিশা বাড়ি এসে সবাই কে সব জানিয়ে দিছে। নাঈমের বড় বোন রিহা নাঈম কে বলে…
রিহা::: ভাই নাফিসা যা বলল তা কি সঠিক।
নাঈম::: কী? কী বলল?
রিহা:::তুই নাকি…
রিহা আর বলতে দিল না তার কাজিন সাদিয়া…..
সাদিয়া::: ভাইটু তুমি নাকি কেয়ার জন্য নিজের জান দিতে গিয়ে ছিলা…
নাঈম::: মানে টা কি একটি মেয়ে পড়ে যাচ্চে আমি তী তাকে বাঁচাতে যেতে পারিনা।
নাফিশা::: হুম তা তো পারিস, কিন্তু তুমি কি সত্যি মেয়ে টা পচন্দ কর, আমি কি বলব তাকে।(নাফিশাও নাঈমের আরেক কাজিন)
নাঈম::::
আন্টি::: এই তোরা কী খেতে আসবি নাকি জেরা করবি ওকে।
সবাই মিলে খেয়ে যে যার রুমে চলে গেলাম। আন্টি আর আম্মুর কারনে ওরা আর আমাকে জেরা করতে পারে নি।আমি রুমে গিয়ে শুয়ে শুয়ে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছিলাম এমন সময় নাফিশা আসল..
নাফিশা::::ভাইয়া আসবো? আমাদের সাথে থাকতে সাবস্কাইব করুন : ক্লিক করুন
নাঈম::: আয় তুই না আসলে কে আসবে।
নাফিশা::: ভাইটু তুই কি আমার উপর রেগে আসিস, আমার লক্ষ্মী ভাই না এক দম রাগ করে না, আমি না বলতে চাইনি কিন্তু কি করে যে আমার মুখ থেকে বের হয়ে গেল তা আমি যানি না।
নাঈম:::হুম তুই যানবি কী করে। তো আর কী কী বললি শুনি।
নাফিশা::: আমি আর কিছুই বলি নি।তবে তোর জন্য একটা খুশির খবর আছে কেয়া না তোকে খুব পচন্দ করে
ওর সামনে যদি তোর নামে কিছু বলি সে হেব্বি রাগ করে, আমার ভাইটুর নামে আমি যা ইচ্চা তা বলব কিন্তু তার জলে কেন ভাইয়া???
নাঈম:::: সেটা আমি জানবো কি করে তুই তোর বান্ধবীকে জিজ্ঞাস কর গিয়।
নাফিশা:::আমি কী তাকে গিয়ে বলব যে তুমি ও তাকে ভালবাস।
নাঈম:::তোকে শেষ কবে মাইর দিচি।
নাফিশা::: এই হয়েছে এই তোমার রাগের কারনে কত মাইয়া আমার এই কিউট ভাইটার প্রোপজ করতে রাজী হয় নি। তোর রাগ কী কোন দিনও কমবে না।
নাঈম::: না। আর তুই আমার রুমথেকে বের হয়ে যা আর আসবি না।
নাফিশা::: হুম আমি যাচ্চি। আর শুন আমি কেয়া কে বলে দেব যে তুমি কত বড় ডেবিল।
নাঈম::: নাফিশা শুন তুই কি কেয়া কে বলছিলি যে আমি তোর ভাই??
নাফিশা :::: না। কেন??
নাঈম::: গুড।এই কথা টা যে কেমনে তোর পেটে রইল।আচ্চা তুই কিন্তু ওকে বলবি না যে আমি তোর ভাই।
নাফিশা::: আমার লাভ!!
নাঈম::: তোর নতুন iphone পেয়ে যাবি। আর এবার শুরু হবে নতুন গেম।
নাফিশা::: ধন্যবাদ আমার ভাইয়া।আচ্চা আমি বলবো না, আর তোর সাহায্য লাগলে বলিস।।
নাফিশা বলে দৌড়, আসলে ছোট বোন থাকা অনেক ভাগ্যের ব্যাপার
নাঈম কেয়ার কথা ভাবতে ঘুমাতে পরে সকাল ঘুম ভাংঙ্গে তাহিরের ফোনে।
তাহির::: কই তুই, তাড়াতাড়ি মাঠে আয়।
নাঈম:::: আসছি তুই একটু অপেক্ষা কর( তারা সকলে একসাথে জগিং এ যায় তাই)
তাহির:::: আসলি, আজ যেহেতু দেরি হয়ে গেছে আজ আমরা এই রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে পড়ি।
নাঈম::: আচ্চা চল।
তারা জগিং করছে হটাৎ যেন কিছু একটা নাঈমের গায়ে পড়ল….
তারা জগিং করছিল হঠাৎ যেন কিছু একটা নাঈমের গায়ে এসে পড়ল।কোক বটল কেউ খেয়ে এ দিকে ছুড়ে মেরে ছিল আর সেটা নাঈমের গায়ে পড়েছিল।নাঈম রেগেআগুন।চারপাশে তাকিয়ে দেখে কেউ নেই,কিন্তু তার পাশে বাগানের কারো কথা শুনা যাচ্চে তারা হবে ভেবে যেই নাঈম সেখানে গেল নাঈমেন রাগ
এবার ৪২০ ভোল্টজের গতিতে রেড়ে যাচ্চে। কারন সেখানে আর অন্য কেউ নয় সেখানে ওহী ছিল আর তার বন্ধুদের হাতে কোক দেখে বুঝতে বাকী রইলনা যে এই কোক টা গায়ে ছুড়ে মেরে ছিল কে??
নাঈম::: এ মেয়ে কোক ছুড়ে মেরে ছিলে কেন???
কেয়া::: আমি, কখন মেরে ছিলাম!!!( করুনার সুরে)
নাঈম::: তুমি না হলে কি ভুত মেরে ছিল??.
কেয়া:::হতে ও পারে।(বলে হেসে দিল)
নাঈম::: এই মেয়ে হাসি বন্দ করো।(হাতে লাঠি নিয়ে)
কেয়া:::: আপনি আ..আ…আমাকে মারবেন।
নাঈম:::হুম।আমার শোধ আমি নেব।
কেয়া:::(আল্লাহ আজকের বাচিয়ে দেও আর জীবনে কাউকে কোক ছুড়ে মারবো না–মনে মনে) “মামা আমাকে বাচান”[নাঈমের পিচনে দেখিয়ে]
নাঈম যেই পিচনে তাকাল সেই কেয়া ও তার বান্ধবীরা দৌড় দিল।
তাহির :::পালিয়ে গেছে। চল বাড়ি যাই।
নাঈম ও তাহির দুইজনে বাড়ি চলে গেল। নাঈম ফ্রেশ হয়ে খেতে গেল তখন ….
নাফিশা:::ভাইটু আমাকে একটু কলেজে নামিয়ে দিবি।
নাঈম::: কেন তোর গাড়ির কী হলো?
নাফিশা:: জানি না, কয়দিন ধরে সমস্য দিতেছিল তাই গ্যারেজ এ দিয়ে আসছি।
নাঈম::: আচ্চা,তাড়াতাড়ি তৈরী হযে নিস।
নাঈম গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ল, নাফিশাকে নামিয়ে দিয়ে চলে গেল…
কেয়া ::: তিন্নি নাফিশা হঠাৎ করে ওর গাড়িতে কেন আসল।(নাফিশাকে শুনিয়ে)
নাফিশা:;:কেন আমি, আসতে পারি না।
কেয়া :::: না আসতে পারিস, তুই তো আবার কোন অপরিচিত কারো সাথে কথা বলিস না, তোর সাথেও তো কেউ বলতে পারে না। তোর একটা ভাই আছেনা তার জন্য।(নাঈমের কথা বলছে, নাঈম এ গুলো পচন্দ করে না)
নাফিশা::::ও আমার অপরিচিত হলো কী করে ওতো…
কেয়া::::কী?????
নাফিশা::::: ও!!!
নাফিশার বলা হলো না এরি মধ্যে এন্টি নিল সাজিদ…
সাজিদ::: কী রে কি খবর তোদের??
তিন্নি::: ভালো তোর??
সাজিদ:::ভালো। আর তোদের কী কাজ নেই, দাড়িয়ে দাড়িয়ে এ পাগলের কথা শুনস।(ওহীকে রাগানোর জন্য)
কেয়া::: কি বললি তুই, তোরে আমি
কেয়া যখন সাজিদকে ধরতে যাবে তখনই সাজিদ দোড় লাগাই। তাই কেয়া আর ধরতে পারল না।ক্লাস শেষে সকলে বাসাই চলে আসে। কেয়া বিকালে শপিং করতে যায়। সে তার কাজিনে জন্য পান্জাবী কিনতে এসে ছিল, একে দিকে নাঈমও নিজের জন্য পান্জাবী কিনতে আসছে, দুইজনেই একই পান্জাবী পচন্দে করেছে
নাঈম:::এটা প্রথম আমি পচন্দ করেছি তাই আমি নিব।
কেয়া::: আমি আগে পচন্দ করেছি তাই আমি নিব।
দুইজনে এবাবে ঝগড়া লেগে যায়।
স্টাফ ::: আপনারা ঝগড়া করছেন কেন।
কেয়া::: দেখেন না মামা, পান্জাবী টা আমার পচন্দ হয়েছে কিন্তু এই উজভুকটা তা দিতে রাজি হচ্চে না।
নাঈম::: কী আমি উজভুক। ভাবছিলাম তোমাকে দিব এটা এখন দিবই না। (বলে কেয়ার হাত থেকে টেনে নিয়ে গেল)
ম্যাডাম ঝড়গা করবেন না, আমি দেখতেচি আরেক টা আছে কিনা।
কিছুক্ষন পর,

ম্যাডাম আমাদের স্টকে আরেক টা.

থাকা এরকম পান্জাবী শেষ হয়ে গেছে।
কেয়া::::স্টুপিড আবার বলতেও এসেছে!!!!
নাঈম:::এত রেগে যাচ্চেন কেন
কেয়া:::রাগতো শুধু আপনি দেখাতে পারেন
স্টাপ:::প্লিজ, আপনারা চুপ করেন।
নাঈম::: হুম, আমি রাগ দেখাই না। (এটা বলে দুই একপা করে কেয়ার দিকে এগিয়ে আসছে আর কেয়া পিচনের দিকে যাচ্চে)
নাঈম:::আমি এটা নেবই না,এই নিন আপনি নিন।( পান্জাবীটা ওহীর হাতে দিয়ে)
কেয়া:::আমিও নেব না আপনার পান্জাবী আপনি নিন, নিয়ে আপনার মাথায় দিয়েন।
নাঈম:::আমার প্রয়োজন নেই আপনি নেন।
এভাবে দুইজনে ঝড়গা লেগে যাই।দুইজনেই পান্জাবী না নিয়ে চলে যাই।
স্টাপ:::কী লোকরে বাবা!!!!
কেয়া:::উজ্ভুক, এনাকন্ডা,ডেবিল তোর কমন সেন্স বলতে কিছু নেয়,আমি একটা মেয়ে আমাকে একটু ছাড় দিবি না তুই!!!! (বাসায় ডুকতে ডুকতে বলছিল)
আম্মু::কীরে মা কাকে এমন কথা বলছিস।(কেয়ার আম্মু)
কেয়া :::আর বলনা আম্মু জিসান ভাই জন্য একটা পান্জাবী কিনতে গেছিলাম কিন্তু যেই পান্জাবীটা আমার পচন্দ হইয়ে তাতে ভাগ বসিয়েছে একটা ডেবিল,এত্ত করে বললাম যে পান্জাবীটা আমায় দিতে কিন্তু দিল না।
আম্মু::: ও এই ব্যাপার , তাই আমার পাগলি মেয়ে টা এত্ত ক্ষেপেছে।
কেয়া ::: আচ্চা আম্মু আমি আগে পান্জাবীটা পচন্দ করছি তাই এটা তো আমি নিব, কিন্তু না সে এইটাই নেবে।
আম্মু::::::হয়েছে বুঝেছি তুই যেমন নাছোড় বান্দা ওও তেমন। আচ্চা হাত মুখ ধুয়ে নাস্তা খেতে আয়।
আর ওই দিকে নাঈম চুপচাপ বসে আছে কারন তার রাগ উঠলে সে হয় যার উপর রাগ উঠেছে তার উপর দেখায় আর না হয় চুপ কে বসর থাকে।
নাফিশা::: কিরে ভাইটু আজ আবার কার সাথে ঝড়গা করলি। (কারন নাঈম কারো উপর রাগ উঠলে চুপচাপ করে বসে থাকে সেটা সবাই জানে)
নাঈম:::(চুপ
নাফিশা :::: কীরে???
নাঈম::: কী, হুম তোর এই ঝড়গাটে বান্ধবীটার সাথে।
নাফিশা:::: কী তুমি আবার ওহীর সাথে ঝগড়া করেছ।
নাঈম:::আমি কি সাদে ঝড়গা করছি, আমি একটা পান্জাবী পচন্দ করেছি ওই পান্জাবীটা তার লাগবে।
নাফিশা:::ও এ ব্যাপার!!! আচ্চা রাগ করলে নিচে আয় তোরে আপু ডাকতেছে।
নাঈম::: যাচ্চি, তুই যা।
কিছুক্ষন পর আপু ডাক ছিলি কেন…..
রিহা ::: কাল একটু আম্মকে নিয়ে চেকআপ গুলো করিয়ে নিয়ে আসিস।
নাঈম::: আচ্চা ঠিক আছে।
ওই দিকে….
নুহা::: কীরে আপু কী করস….
কেয়া:::চোখে দেখস না!!!!
নুহা :::আচ্চা তুই কি আর মানুষ হবি না.
কেয়া:: আমি কী তাহলে প্রেত্নী।তুই নিজে আস্ত একটা ভুত, শুধু ভুত না তুই বান্দর, ছাগল, কটকটি, পেকাটি।
নুহা :::হইছে হইচে। আর বলতে হবে না। তবে তুই নিজে একটা প্রেত্নী তা যে তুই নিজে স্বীকার করলি এতে আমি অনেক খুশি।
কেয়া:::: তবে রে!!!
কেয়া নুহা কে দৌড়াচ্ছে আর নুহাও কেয়াকে দৌড়দিতেছে।কেয়া আর নুহা দুইবোন, দুজন দুজনকে খুব ভালবাসে।
নুহা :::: আম্মু দেখ না তোমার মেয়ে আমাকে কীভাবে দৌড়াচ্ছে।
আম্মু::: কেয়া তুমি আমার লক্ষ্মী মেয়েটাকে দৌড়াচ্ছ কেন।
কেয়া::: লক্ষ্মী না ছাই, জানো আম্মু ও বলে আমি নাকি প্রেত্নী।(কাদোঁ কাদোঁ শুরে)
আম্মু::: আহারে!! আমার মেয়েটাতো দেখতে একবারে রানীর মত।(নুহার কান টেনে) আর তুই ওকে..
নুহা::: আহ!!! লাগছে তো ছাড়ো না।
কেয়া::: একদম ঠিকআছে।দেও জোরে টেনে দাও।
নুহা………….
কেয়া::: একদম ঠিকআছে।দেও জোরে টেনে দাও।
নুহা:::: আম্মু ছেড়ে দেও, লাগতেছে তো
কেয়া:::আম্মি খুব খিদে পেয়ে কিছুখেতে দেওনা, আর আব্বু এখনও ফিরে নি।
আম্মু:::না তোর আব্বু আজ আর আসবে না তোর আব্বু শিক্ষক ট্রেনিং এ গেছে, তোরা খেতে বস আমি তোদের খেতে দিচ্চি।
কেয়া ও নুহা::: ঠিক আছে আম্মু।
তারা খেতে থাক আমরা আমরা এবার অপর দিক থেকে ঘুরে আসি।
নাঈমের বোনেরা ও নাঈম মিলে ক্যারাম খেলছিল।
নাঈম::::সাদিয়া এইটা ডানের কোডে আসতে কিক কর।
সাদিয়া::: ওকে ভাইটু।
সাদিয়া কিক করল কিন্তু সে পারলনা
নাইম:::তোরে বলছিনা আসতে করতে।
রিহা:::হবে না, তোদের গেম হবে না দেখ এবার আমরা কি করে গেম দিই।
নাঈম:::আপ্পি ওভার কন্ফিডেনট ভালো না। এবারে কিক কিন্তু নাফিশার।
নাফিশা ::: আমি কী পারি না। আমি সাদিয়া আপুর মত
সাদিয়া::: ওই তুই নিজেকে কী মনে করস, নে দেখি পালাই দেখা এখনোতো একটাও পালাইতে পারিলনা।
নাফিশা :::এভার কিন্তু পারবো দেখিস।
বলেই কিক করল কিন্তু এবার ও পারল না রেড টা পালাইতে
নাইম:::বলছিলা আপু ওভার কন্ফিডেন্ট ভালো না। দেখলি তো।
সবাই চুপ কারন এখন যে তাদের হারতে হবে।নাঈম কিক করল এবং রেড পযেন্ট নিজেদের করে নিল।এবং জিতে গেল।
সাদিয়া:::হুররে জিতে গেছি!!!” তোমরা হেরে গেছ।
রিহা:::হয়েছে জিতে দেশ জয় করে পেলেছ
নাফিশা::: হুম তাই।আর ভাইয়া যে দলে তারা এমনি তে জিতে।
সাদিয়া…….
আম্মু::: খেতে আয় তোরা।টেবিলে খাবার রাখা আছে।
সবাই খেতে চলে গেল।খাওয়া দাওয়া শেষ।
পরের দিন…..
নাঈম যথাযথ ভাবে তার সকালের রুটিন শেষ করে অফিশের দিকে রওনা দিল।অফিসে পৌঁচে……
নাঈম::: মি. আমির কে ডাক।
সেক্রেটারি :::: ওকে স্যার।
…..
সেক্রেটারি::::স্যার, আপনাকে ডাকছে স্যার।
মি. আমির:::আমি আসছি, তুমি যাও।
…….
মি.আমির ::: স্যার আসবো।
নাঈম::: আসুন, বসুন।
মি.আমির :::স্যার আমাকে ডেকেছেন কেন।
নাঈম::: আমাদের নতুন প্রজেক্ট এর কাজ কতটুকু এগিয়েছে।
মি.আমির ::: স্যার পুরোটা শেষ হয়েছে। আর এবারে কাজটা করেছে তনিমা।বেশ টেলেন্ট আছে মেয়েটার।
নাঈম:::হোয়াট, তনিমা করেছে মানে আর ফাইল গুলোবা কই এখনো জমাহয নি কেন???
মি.আমির :::: স্যার সম্সত ফাইল তনিমার কাছে আছে,তাহির স্যার তনিমাকে এ কাজটা দিয়েছে।(অফিসের সকল স্টাফ নাঈমকে ভয় পাই।কারন নাঈম কাজে ফাকি দেওয়া নাঈম পচন্দ করে না,তানিমা কাজে ফাকি দেয় বেশি তাই তাকে এসব কাজ দেওয়া হয়না কিন্তু তার টেলেন্ট আছে, আর এই প্রজেক্টটা বেশ বুদ্ধির আর পরিশ্রেমের)
মি.আমির চলে যাওয়ার পর সেক্রেটারি কে বলে….
নাঈম::: মিস.তনিমাকে বলুন তার করা ফাইল গুলো নিয়ে আসতে।
সেক্রেটারি::::ওকে স্যার।
তারপর তনিমাকে ডাকা হয় তনিমা আসে।
তনিমা :::আসতে পারি, স্যার।
নাঈম::হুম, আসুন, বসুন।তা মিস. তনিমা ফাইল গুলো দেখি।
তনিমা :::জী স্যার, এই নিন।
নাঈম::: দারুন তো!!! তা এত দিন ফাইল গুলো দেখান নি কেন? (তনিমা ফ্যাশন বিভাগের হেড কিন্তু কাজে ফাকি দেওয়ার কারনে তাকে ফ্যাশন বিভাগ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।আর তনিমা তাহিরের মামাতো বোন।)
তনিমা::::ভাইয়া বলেছিল আমাকে শুধু কাজগুলো করে রাখতে ভাইয়া এসে আপনাকে দেখাবে।
নাঈম:::তোমার ভাইয়া আর এখানে আসবেনা। তাহির কে অন্য জায়গায় ট্রান্সফার করা হয়েছে।
তনিমা :::ভাইতো আমাকে কিছু বলে নি??
নাঈম:::সময় পায় নি হয়তো।আচ্চা দুপরের খাবারে সময় হয়ে গেছে চলেন। আজ আপনাকে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে খেয়ে আসি।
তনিমা :::আচ্চা চলুন স্যার।
রংপুরেরডাক ফাইল ছবি

তারপর তারা একটা রেস্টুরেন্টে যাই এবং সেখানে

গিয়ে নাঈম আর তনিমা একটা টেবিলে বসে এবং নাঈম খাবারের অর্ডার করে
ওয়েটারঃ কি খাবেন স্যার?
নাঈমঃ চিকেন বিরিয়ানি, ভেজিটেবাল, কোক।
ওয়েটারঃ ঠিক আছে, স্যার।
অল্প সময়ের মধ্যে তাঁদের খাবার আসলো এবং তারা খেতে শুরু করল
নাঈমঃ আচ্ছা হটাৎ তোমার এত পরিবর্তন কেন জানতে পারি।
তনিমাঃ বাবা খুব অসুস্ত হয়ে পড়েছে বাবার ঔষদ এবং চিকিতসার জন্য অনেক টাকা লাগবে তাই।(কান্না করতে করতে)
নাঈমঃ এই নাও টিস্যু, আর কান্না করোনা, আমি বুঝি বাবা না থাকার কষ্ট কতো। আর তোমাকে তোমার আগের পোস্টে প্রমেশন দেওয়া হল। কাল থেকে জইন কর। চল তোমাকে তোমার বাসায় দিয়ে আসি
তারপর নাঈম , তনিমা যেই বের হতে গেল তখনই ঘটল ঘটনা নাঈম যেই দরজা দিয়ে বের হবে তখই নাঈম কিছুর সাথে ধাক্কা খেয়ে পরে গেল।
নাঈমঃ আপনি কি উঠবেন নাকি,
বলে নাঈম যখনই তার দিকে তাকাল নাঈমতো অভাক
নাঈমঃ এই তুমি !!!!!!আসলে ওইটা ওহী ছিল।
কেয়াঃ আপনি !!!!
নাঈমঃ তুমি এত ভারি!!! উঠ,উঠ বলছি।
কেয়াঃ কি আপনি আমাকে কি বললেন, আমি উঠবই না।
সায়রাঃ ওই কেয়া উঠবি, নাকি এভাবে থাকবি?
তারপর নাঈম এবং কেয়া উঠে
কেয়াঃওই প্রেত্নি আমি কি ইচ্চে করে পড়ে চিলাম।
নাঈমঃ আচ্চা আপনার বন্ধুটা কী এরকম।
কেয়াঃ কি রকম আমি???
নাঈমঃ এই আরকি একটু পাগল টাইপের
তিন্নিঃ হুম আসলে ও এই রকমি
কেয়াঃ কি বললি। তরে আমি পরে দেখতেছি। আগে ওকে দেখি আমারে পাগল বলা।।(রাগে পুষতে পুষতে)
নাঈমঃ কি করবেন আপনি ???
কেয়াঃ আমি কি করতে পারি দেকবে…
নাঈমঃ হুম।দেখি তুমি কি করতে পারো।
কেয়াঃ আমি আপনাকে……
যেই কেয়া নাঈমের গলা টিপে ধরতে যাবে তখনি
তনিমাঃ এই মেয়ে কি করছো তুমি।
বলে কেয়ার হাত দরে পেলল………
তনিমাঃ তুমি যান ও কে, আর তুমি কার সাথে কি ব্যবহার করছও।
কেয়াঃ আমার জানতে হবে না। আর তোমার সমস্যা কি আমি উনার সাথে এমন করে কথা বললে।
নাফিশাঃ কেয়া তুই এবার ঝগড়া থামাবি।
কেয়াঃ আমি ঝগড়া করছি।
তোরা থাক আমি থাকবোই না । তোদের সাথে আর কোন কথা নাই।(বলে ওহি চলে গেল, ওহীর সাথে নাফিশাও চলে গেল।)
তনিমাঃ চলুন স্যার।
তারপর নাঈম আর তনিমা একসাথে যাচ্চে।
তনিমাঃ স্যার মেয়েটাকে কে। আপনার সাথে এরকম করল কিছু বললেন না কেন।
নাঈমঃ হুম আমি ওকে চিনি, ও এরকমই খুব কথা বলে, খুব ঝগড়া করে। কিন্তু খুব মায়াবি।
তনিমাঃ আপনি কি ওকে ভালবাসেন।
নাঈমঃ তোমার বাসা চলে এসেছে । আর আগামি কাল অবশ্যই সময়ের মধ্যে পৌচে যাবে। আর কাল তাহির ও আসবে।
তনিমাঃ ঠিক আচে স্যার। গুড বাই !!
তনিমাকে নামিয়ে দিয়ে নাঈম চলে আসতেছে। আর ভাবতেচি সত্যি কি আমি কেয়া কে ভালবাসি। কেয়া কে দেখার পর থেকেই আমার পথ থমকে যায়। ওকে আমি সব সময় মিচ করি কিন্তু কেন। তাহলে কি আমি সত্যি ওকে ভালবাসি।(নাঈম তো অন্যমনস্ক হয়ে গাড়ি চালাচ্ছে তাই আওয়াজ শুনে গাড়ি থামায়।(যে আওয়াজ তা ছিল তা ছিল গুলির, নাঈম অন্যমনস্ক হয়ে গাড়ী চালচ্ছি, কয়েক টা বখাটে ছেলে ওই পথে ই ছিল তারা যখন দেখল গাড়িটি না থামিয়ে তাদের দিকে এগিয়ে আসচে তখন তারা নাঈমের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করে, ভাগ্য ভালো থাকায় গুলি তা নাঈমের গায়ে লাগে নি।)
তাদের একজন বলেঃ যা দেখে আয় বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে। বেঁচে থাকলে নিয়ে আসবি।
একজন তখন ওই গাড়ী সামনে যায় এবং গাড়ী দরজা খুলে….
লোকটাঃ ওই এভাবে কেউ গাড়ী চালায়। চল?
তারপর ছেলেটা নাঈমের কলার চেপে দরে ,নাঈমে কলার ধরার কারনে নাঈমের খুব জিদ হয় এবং নাঈম বুঝে গেল যে এরা কোন সন্ত্রাস দল আর গুলিটাও এরাই চালিয়েছে, তাই নাঈম তার হাতটা ধরে পিচন দিকে মড়ান দিয়ে বলে এই নাঈমের কলার ধরার সাহস কারো হই নি আর তোরা……….. নাঈম তাকে মেরে রেখে দেয়। পুলিশ কে ফোন করে এই জায়গায় আসতে বলে। তারপর নাঈম গাড়ীর এগিয়ে যাই সামনের দিকে কি হয়েচে দেখার জন্য। সেখনে গিয়ে নাঈম তো অভাক এই গাড়ি টা তো তার বোন নাফিশার। নাঈম আর একটু সামনের দিকে এগিয়ে যায় এবং দেখে তার অনুমানই ঠিক। নাফিশাও নাঈম কে দেখে ছেলে গুলো কে ধাক্কা দিয়ে নাঈম আর কাছে চলে আসে। আর কাঁদতে থাকে।
ছেলে গুলো বলেঃ কে রে তুই। যদি বাঁচেতে চাস তাহলে চলে যা।( নাঈম বুঝল এরা আসলে কিছু কোটিপ্রতি বাবার নষ্ট হয়ে যাওয়া সুসন্তান, এদের কাজ ই হলো এটা)
নাঈমঃ তোরা নিজেও জানসনা এখন তোদের সাথে কি হতে চলছে । আমিকে তা জানলে তোদের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাবে।
একটা ছেলেঃ কি বলে শুনচোস।
নাফিশাঃ ভাইয়া, ওরা আমাকে আর কেয়াকে………… (কাঁদতে কাঁদতে)
একটা ছেলেঃ ওই ওকে বুঝিয়ে দে আমরা কে?
তারপর একটা ছেলে নাঈম মারতে আসে কিন্তু নাঈম তাকে মেরে দেয়……
ইতি মধ্যেসেখানে পুলিশ এসে পোঁছাল
নাঈমঃঅফিসার ওদের নিয়ে যান।আমি কাল আসে কথা বলব।
অফিসারঃ স্যার।আমার মনে হয় না ওদের আটকে রাখা যাবে।এদের এই পর্যন্ত আমি অনেক বার ধরেছি। কিন্তু ওদের বাবারা আবার ওদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
নাঈমঃ এবার আর তা হবে না।
অফিসারঃ ধন্যবাদ স্যার।তাহলে এখন আসি।
নাঈম:::: কেয়া কই??
[এতক্ষণ পর্যন্ত চুপ ছিল কেয়া কারণ,ওই ছেলে গুলো কেয়া হাত-মুখ বেঁধে তাদের গাড়িতে রেখে আসে]
নাফিশাঃ ভাইয়া ওই গাড়ী তে কেয়া ওকে ওরা ওই বেঁধে রেখে ছে…
তারপর নাঈম গিয়ে কেয়া কে নিয়ে আসে। কিন্তু কেয়ার হাত মুখ বাধার কারনর অজ্ঞেয়ান হয়ে যায়
নাফিশাঃ::: ভাইয়া কেয়া তো জ্ঞান হারিয়ে পেলছে।।
নাঈমঃ::হুম।
তারপর নাঈম তাকে নিয়ে গাড়িতে যাই, এবং তার চোখে পানি ধেয়।
কেয়ারও জ্ঞান ফিরে আসে…
কেয়া তো নাঈম দেখে অভাক…………
কেয়াঃ আমি এখানে কি করে।আর নাফিসা কই?
নাফিশাঃএই তো আমি।
কেয়াঃ তুই ঠিক আচিস তো, আর আমরা এখনে কি করে?
নাঈমঃ সেটা তোমাকে বুঝতে হবে। রাত অনেক হয়েছে এখন চল।
তারপর নাঈম কেয়া কে তাদের বাসায় নামিয়ে দিয়ে বাসায় চলে আসে। পরের দিন সকালে কেয়া ……
পরের দিন সকালে কেয়া কলেজে এসেই নাফিশাকে খুজঁতে থাকে
কেয়া::: তিন্নি নাফিশা এখনো আসে নি???
তিন্নি ::: না তো, কেনো।
কেয়া:: আরে লাগবে, ওই পেত্নীটা যে কেনো এখন দেরি করচে।
নাফিশা::: ওই আমি পেত্নী, তাহলে তুই কী??
কেয়া:: তুই আসচস।
সায়রা::: কী রে কাল শপিং কেমন করলি??
কেয়া::: আর শপিং, শেষ পর্যন্ত জীনটাই গুড বাই বলতে এল।
নাফিশা:: হুম তবে, ওখানে একটা দারুন ঘটনার অভিজ্ঞতা হল।
তিন্নি::: কী বলতো।
[তারপর নাফিশা কাল রাত যা হয়েছে সব বলে]
সায়রা::: বলিস কি?? ওহী!!!
কেয়া::: ধুর ভালো লাগেনা..আমি গেলাম তোরা থাক।
নাফিশা::: তুই কই যাস।
কেয়া::: আমি বাসায় গেলাম।তোরা থাক।
(বলে চলে গেল বাসায়)
কেয়ার আম্মু::: কীরে এতো তারাতাড়ি চলে এলি যে, শরীর খারাপ নাকি।
কেয়া:: না, আম্মু আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি।(আমি রুমে গেলাম)
তারপর কেয়া শাওয়ার শেষ করে, তার লেপটপ নিয়ে বসে।
↓গতকাল….
নাঈম রাতে বাসায় এসে আর কাউকে রাতের ঘটনা জানাই নি কারন সবাই তাহলে টেনশন করবে,সবাই সাথে রাতের খেয়ে, ঘুমাতে গেল।
নাইম::: নাফিশা, আসব।
নাফিশা::: আস ভাইয়া, এতে আবার অনুমতি নেওয়ার কি আছে।
নাঈম::: কী করস, ঘুমাস নি কেন।
নাফিশা::: কালকের কলেজের এসাইনমেন্ট প্রস্তুত করি।
নাঈম::: আচ্চা, আর শুন আজ যা হয়েছে তার জন্য টেনশন করিস না, ভালো ভাবে পড়।আর আরেকটা কথা এ কথা বাড়ির কাউকে বলিস না তাহলে সবাই টেনশন করবে।
নাফিশা:::তোমার মত ভাইটু থাকতে আমার আবার টেনশন কিসের।
নাঈম:: তুই পড়, আমি আসি।
তারপর নাঈম চলে আসে, এসে উকিলকে ফোন দেয়,কারন ওদের উকিল ওদের ছাড়িনে নেওয়ার কিছু করতে হবে।
নাঈম ::: আরিফ সাহেব!!
আরিফ সাহেব:: হুম বলেন, স্যার।
তারপর নাঈম ঘটে যাওয়া সব ঘটনা বলে।
নাঈম::: কী করতে হবে বুঝছেন তো।
আরিফ সাহেব:: হুম বুঝছি।তবে স্যার ওরা কিন্তু অনেক ভয়ানক।
নাঈম::: সমস্য না, ওটা আমি দেখে নিব।
পরের দিন সকালে আরিফ সাহেব নাঈমকে ফোন করে।
আরিফ সাহেবঃ:: স্যার, সমস্ত ফাইল তৈরী হয়ে গেছে, এখন জমা দিলে কেস্ কৌটে।
নাঈম:::ভালোই তো।
তারপর নাঈম শাওয়ার শেষকরে পরিপাটি হয়ে রওনা দেয়।
আম্মি:: নাস্তা না করে কই যাস।
নাঈম:: বাহিরে খেয়ে নেব।একটা জরুরি কাজে যাচ্চি।
বলে নাঈম বেরিয়ে গেল
চলুন আমার ফিরে যাই গল্পের হিরোইন এর কাছে…
ওহী তার লেপটপ নিয়ে বসে বসে গান শুনতে ছিল আর ভাবতেছিল….
আসলে নাঈম স্যার যতটা খারাফ ভাবছিলাম না, কাল যদি আমাদের না বাচাঁতো তাহলে শেওরা গাছের পেত্নী হয়ে যেতাম। তার সাথে দেখা হলে একটা ধন্যবাদ দিতে হবে।
নুহা::: এই আপু (চিৎকার দিয়ে)
কেয়া:::: কী হয়েচে। আর এমন জোরে চিৎকার দিয়ে ডাকস কেন,কান তো মনে হয় পেটে গেছে।
নুহা ::: তোর মোবাইল দেখ। তাহলে বুঝতে পারবি।
কেয়া ::: ও মা!! এতো গুলো কল। আগে ডাকস নি কেন।
নুহা::: তোরে তো আমি ডাকতেছি, কিন্তু তুই আর তোর জায়গা আচস তুই তো স্বপ্নের দেশে চলে গেচস। এতো কী ভাবতে ছিলি???
কেয়া::: কিছু না।তা তুই এখানে কেন???
নুহা:::তোর একটা পারসেল এসে ছিল, ওইটা দিতে এসেছি।
কেয়া:::পারসেল!! আমার নামে!! কই দেখি তো।
কেয়া তো পারসেল বক্সদেখে অভাক..
————————————
কে এই গিফট গুলে দিল, সব গিফট তার পচন্দের…..
কেয়া::: তুই এই গিফট কই পেলি।
নুহা::: আরে একটা কুরিয়ার লোক এসে দিয়ে গেছে।
কেয়া::: ও আচ্চা তুই যা।( কে দিতে পারে এই জিনিস গুলো, কেউ কী আমার সাথে ফাজলামি করছে, নাকি সত্যি কেউ এ গুলো সিরিয়াস ভাবে করছে।)
তারপর কেয়া নাফিশাকে ফোন দেয়….
কেয়া:::: ফোন দিছস কেন???
নাফিশা::: এমনি তে,কেন আমি কী ফোন দিতে পারি না।আর তরে এত্তগুলা ফোন দিলাম কই ছিলি।( ওই সময় ফোন গুলো নাফিশাই দিয়ে ছিল)
কেয়া::: শোন না একটা ঘটনা ঘটে গেছে।
নাফিশা:::কী রে বল না???
কেয়া:: তারপর ঘটে যাওয়া সব ঘটনা বলে।
নাফিশা:: বলিস কী, সত্যি।
কেয়া::: তো, আমি কী তোর সাথে ফাজলামি করি।
নাফিশা::: না তা অবশ্য না।
কেয়া::: আচ্চা বলত এগুলো কে করতে পারে।
নাফিশা::: আমি কি করে জানব।
কেয়া::: তাও কথা, আমি নিজেই জানি না তুই কী করে জানবি।আচ্চা রাখি, আমার প্রচুর টেনশন হচ্চে।
তারপর কেয়া ফোন রেখে দেয়, নাফিশা ফোন ফোন দেয়,,,
নাফিশা::: ভাইয়া,পৌঁছে গেছে।
নাঈম::: সত্যি বলছিস।
নাফিশা:: হুম ভাইটু…
চলুন জেনে পিচনের ঘটনাটা↓↓
নাফিশা:: ভাইয়া আজ অফিসে যাস নি।
নাঈম:: হুম গেছি, ভালো লাগে না তাই চলে এসেছি।
নাফিশা::: একটা খবর আছে।
নাঈম::: কী বল।
নাফিশা::: আমার মনে হয় কী, তুই যে রোগে ভুগছিস, আরেক জনও সেই রোগে ভুগছে।
নাঈম::: পেচাল না করে ক্লিয়ার করে বলতো।
নাফিশা::: মানে কেয়া, মনে হয় তোর প্রেমে…… তবে ব্রো একটা কথা ও কিন্তু তোকে ঠিকই ভালোভাসে।
নাঈম::: সেটা তো হতেই হবে।
নাফিশা::: হুম, দেখতে হবে না ভাইটা কার।
নাঈম::: আচ্চা একটা কাজ করা যায়।
নাফিশা::: কী ভাইটু।
নাঈম তারপর তার পুরো প্লান বলে….
নাফিশা::: ভাইয়া তুই গ্রেট, দারুন প্লান, আচ্চা আমি সব করে দিচ্চে
তারপর নাফিশা সব কাজ সঠিক ভাবে সেরে নেয়।
পরে দিন সকালে নাঈম অফিসে যাওয়ার জন্য প্রস্তত হচ্চে….
নাফিশা ::: ভাইয়া, আমাকে একটু কলেজে নামিয়ে দিয়ে আসবি।
নাঈম::: দেওয়া যাই ওই পথেই যাই।চল তাহলে।
তারপর তারা রওনা দেয়।কলেজে পৌঁচে নাফিশাকে নামিয়ে দেয়
এদিকে আর দুটো চোখ তাদের উপর নজর রাখছে, আর রাগে ফুলতেছে….
ওহীর অনেক রাগ হচ্চে নাঈমের সাথে নাফিশাকে দেখে, কিন্তু ওহী এটা বুঝতেছে না কেন তার রাগ হচ্চে, নাঈম তার কে হয়।তবে কী সে নাঈমকে…. (এমন টাই ভাবতেছে ওহী)
নাফিশা::: কিরে কেমন আছিস।
সায়রা:: ভালো, তুই।
নাফিশা::: ভালো, চল ফুচকা খাব।
তিন্নি:: সত্যি, তাহলে চল।
কেয়া::: তোরা যা, ভালো লাগছে না আমি বাড়ি যাব।
সায়রা::: কেন তোর কী হয়েছে, শরীর খারাফ নাকি।
কেয়া::: না, তোরা থাক আমি গেলাম।
তিন্নি:: কী হয়েছে ওর, আজ কেমন শান্ত সভ্য দেখাচ্চে না।
নাফিশা::: দেখাইবেই তো।এখন পরবর্তী প্লান শুরু করতে হবে।
সায়রা::: ওই দোস্ত কী প্লান রে।
নাফিশা::: তোদের সেটা বুঝার লাগবে না।
তারপর তারা খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাড়ি ফিরে আসে।
→↓
তনিমা::আসতে পারি স্যার।
নাঈম::: হুম, আস।
তনিমা::: স্যার এইযে ফাইল।
তারপর নাঈম ফাইলটা দেখে সাইন করে দেয়।
নাঈম::: এই নাও ফাইল। বস।
তারপর নাঈম তার সেক্রেটারিকে বলে ইমরান সাহেব কে ডেকে আনতে…..
ইমরান::: আসতে পারি, স্যার।
নাঈম::হুম, আস।
ইমরান ::: স্যার কী জন্য ডেকেছেন।
নাঈম::: ও তনিমা, ফ্যাশন ইন্জিনিয়ার, আর তনিমা ও হচ্চে ইমরান নতুন জয়েন করেছে আজ থেকে তোমার সাথে কাজ করবে।আর তোমাদের পরবর্তী কাজ টি তোমরা আরফান সাহেবের কাছ থেকে বুঝে নিও।
তারপর নাঈম বেরিয়ে পরে
কেয়া ফিরে গোসল করে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ে…..
নুহা::: আপু, ওই আপু উঠ,আর কত ঘুমাবি, উঠ।
কেয়া:: কী হয়েছে, এমন করস কেন।
নুহা::: চলনা আপু আমরা ঘুরে আসি।
কেয়া::: ভালো লাগছেনা, তুই যা।
কেয়ার আম্মু::: যা কেন তোর কী হয়ে। আজ যেন তুই কেমন নিরব, কোন সমস্য হয়েছে।
কেয়া::: না, আম্মু। একটু ওয়েট কর আমি রেডি হয়ে নি।
তারপর তারা রেডি হয়ে নেয়ে।
কেয়া::: আম্মু আমরা যাচ্চি।
আম্মু::: আচ্চা তাড়াতাড়ি ফিরে আসিস।
তারা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে।তারা ঘুরে আবার বাড়ি ফিরে আসে কিন্তু রাস্তায় তাদের গাড়ি নষ্ট যায়।
নুহা::: আপু কী হল।
কেয়া::: মনে হয় গাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে।
নুহা ::: এখন কী হবে।
কেয়া::: কী আর হবে।এখন উবার কে খবর দিতে হবে তারা আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
নুহা::: তারচেয়ে ভালো কারো গাড়ি উঠে চলে যাই।
কেয়া::: তাই করবি। আচ্চা ঠিক আছে।
তারপর নুহা গাড়ি থামানোর জন্য রাস্তায় দাঁড়ায়। কিছুক্ষন পর একটা গাড়ি আসে
কেয়া::: একটু হেল্প, হেল্প।
তারপর গাড়িটি থামে….
গাড়ির ভিতর থেকে::: কী হয়েছে??
বলে যেই গাড়ির দরজা খোলে তখনই……
নুহা::: ভাইয়া তুমি।
কেয়া::: কে রে নুহা।
বলে যেই গাড়ির দরজা খুলে বের হল কেয়া তো অভাক
কেয়া::: তুমি
নাঈম:: হুম, আমি।তা আপনারা এখানে কেন?
নুহা::: ভাইয়া আমরা ঘুরতে বের হয়ে ছিলাম কিন্তু দেখনা বাড়ি ফেরার পথে আমাদের গাড়ি টি নষ্ট হয়ে যায়।
নাঈম::: ও এই ব্যাপার।
তারপর কেয়া, নুহা দুজনেই গাড়িতে উঠে বসে,যেতে তারা অনেক কথা বলে।
কেয়া:::ধন্যবাদ।
নাঈম:::কেন??
কেয়া:: ওই দিন বাঁচানোরর জন্য। আর আজ লিভ দেওয়ার জন্য।
নাঈম::: ইটস্ ওকে।
তারপর তারা চলে যায়।
রাতে↓
কেয়া::: নুহা, আজ আমি তোর সাথে ঘুমাবো।
নুহা::: সত্যি, আপু।
কেয়া::: হুম।
তারপর তারা ঘুমানোর প্রস্তুতি নেয়।তারা একে অপরের সাথে গল্প করতে থাকে।
কেয়া::: নুহা তোর সাথে ওর পরিচয় হয় কী করে।
নুহা::::ওই যে ওই দিন তুই যে আমাকে দেরি করে নিতে এলি মনে আছে।
কেয়া::: হুম মনে আছে।
নুহা::: ওই দিন তোর দেরি দেখে আমি ক্যাম্পাস থেকে গাড়ির জন্য বের হয়ে যাই।কিন্তু ক্যাম্পাসের বাহিরে কিছু বখাটে ছেলে ছিল, তারা আমায় নানান ধরনের কথা বলে।তখন নাঈম ভাইয়া আমাদের ক্যাম্পাসের সামনে যে রেস্টুরেন্ট আছে সেটা থেকে বের হচ্চে।তারপর নাঈম ভাইয়া এসে তাদের কে মারধর করে এবং কয়েকটাকে পুলিসের হাতে ও তুলে।সেই থেকেই পরিচয়।
কেয়া::: তোর সাথে এত কিছু হয়েছে তুই কিছুই বললি না।
নুহা::: আম্মু জানে তো।আর জানস এখন ওখান কার আসে পাশের ছেলে গুলো আমায় অনেক ভয় পাই।সবাই জানে আমি নাঈম ভাইয়ার বোন
কেয়া::: হয়েছে আর আর ঢং করতে হবে না।
নুহা::: আমি না একটা প্লান করেছি।বলব, তুই বললে বলব
কেয়া::: নেকামি না করে বল।
নুহা:::: নাঈম ভাইয়াকে না আমার পার্মানেন্ট ভাইয়া বানিয়ে পেলব।
কেয়া::: সেটা আবার কেমন???
নুহা::: এটাও বুঝনা না, আম্মু রে বলব নাঈম ভাইয়ার সাথে না…..
কেয়া:::: কী???
নুহা::: বলব, আগে বল তুই মারবি না।
কেয়া::: কী এমন কথা।
নুহা::: আগে বল….
কেয়া::: আচ্চা মারবো না।
নুহা:::আম্মু রে বলব নাঈম ভাইয়ার সাথে তোর বিয়ে দিতে….(বলেই দৌড়)
কেয়া:::: ওই কি কইলি??(বলে তাকে দৌড়াতে থাকল)
নুহা::: আম্মু বাঁচাও গো, তোমার মেয়ে আমায় মেরে ফেলল।
আম্মু::: এত রাতে তোরা আবার কী নিয়ে ঝগড়া করছস।
কেয়া::: আম্মু,তুমি সর, আজ আমি ওকে মেরেই ফেলব।
আম্মু:::আচ্চা আচ্চা, আগে বল কী হয়েছে।
তারপর কেয়া সব বলে,কেয়ার কথা শুনে তো তার আম্মু,
কেয়া:::আম্মু তুমি হাসছো।তুমি ও আমাকে এই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে চাও।(বলেই কেঁদে দিল)
আম্মু::: না সোনা তুমি তো আমার লক্ষ্মী, এ আমি নুহাকে বকে দিচ্চি, আর বলবে না, নুহা আপু কে সরি্ বল।
নুহা:::সরি আপু, রাগ করিস না আমি তো তোর সাথে মজা করছি।
তারপর দুই বোনে মিলে ঘুমাতে যায়, নুহা ঘুমিয়ে পড়ে, আর কেয়া শুয়ে শুয়ে নাঈমের কথা ভাবছে। সে ঘুমাতে পারছে না। তার শুধু নাঈমের কথাই মনে পড়ে।একটা দুর্ঘটনা মাধ্যমে দেখা, যখনই দেখা হয় তখনই ঝগড়া বাঁধে, দেখতে তো মাশাল্লাহ অনেক কিউট কিন্তু কেন যে এমন মেজাজ সেটা সৃষ্টিকর্তাই জানে।এমনটা ভাবতে কখন যে নিজেও ঘুমিযে পড়েছে নিজেও যানে না।
→↓←
নাঈম বেলকনি তে বসে বসে কেয়ার কথাই ভাবছে, যতই বেশী কথা বলুক মেয়েটা কিন্তু খুব মায়াবী, যতই বার ই তার মুখটা দেখি তত বারই নতুন করে প্রেমে পড়ে যাই….. (নাঈমের ভাবনায় ছেদ ধরাল তার বোন)
রিহা::: ভাই, এখনো ঘুমাস নি???
নাঈম::: না আপু।
রিহা::: রাত অনেক হয়ছে, যা ঘুমাতে যা।
নাঈম::: আচ্চা আপু।
তারপর নাঈম ঘুমিয়ে পড়ে।
\\পরের দিন
নাঈম তার গাড়ি নিয়ে অফিসের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ে। পথে দেখা একজনের সাথে যে কিনা তার সাথে যাওয়ার জন্য সেই কখন থেকে তার জন্য অপেক্ষা করছে…..
কেয়া বাসা থেকে একটু তাড়াতাড়ি বের হয়, এই জন্য যে যাতে সে নাঈমের সাথে যেতে পারে, অনেক ক্ষন অপেক্ষারর পর নাঈমের গাড়ি আসে এবং ওহী থামতে ইশারা করে……
নাইম::: কী হয়েছে???? আবার কী সমস্য হয়েছে???
কেয়া::::( কোন কথা বলছে না, সোজা গিয়ে গাড়িতে বসে পড়েছে)
নাঈম::::what is this???
কেয়া::: হুম, গাড়ি চালান। আর আরেক টা কথা আমি যেই যেই লোকেশনে বলব ওই ওই লোকেশনে যাবেন।
নাঈম::: কেন, আমি যাব??? আর আমারে অর্ডার করার আপনি কে???
কেয়া:::: আমি বলছি তাই যাবেন। (মাত্র তো শুরু সামনে আরো আছে মশাই)
তারপর নাঈম গাড়ি চালাতে থাকে, আর কেয়া লোকেশন দেখিয়ে দিচ্চে… তারপর তারা একটি রেস্টুরেন্ট এর সামনে থামল…..
নাঈম:::: আমরা এখানে কেন থামলাম???? আর আমি তো অফিসে যাব???
কেয়া::: কী??? অফিস যাবেন, অফিস যাবেন করছেন, কই আমি তো একবার ও বলিনি কলেজে যাব কলেজে যাব???
নাঈম:::আপনার ইচ্ছা জেগেছে যখন আপনি যান না???
কেয়া::: হুম আমি তো যাবই!!!! আর আপনি যাবেন কেন??? আপনি তো যাবেন ওইযে ওই শাঁকচুন্নি, পেত্নী, হনুমান গুলার সাথে।
নাঈম::: কী ওরা শাঁকচুন্নি, পেত্নী!!!!
কেয়া::: হুম, আর আপনি এখন আসেন???
নাঈম::: না আমি যাব না???
কেয়া:::: না, আপনাকে যেতেই হবে।। (তোরে যদি ভালনা বাসতাম তাহলে এতোক্ষনে দেখতিরে কেয়া কী জিনিস, আর যদি তোর কথায় কথায় রাগ দেখানো না থাকতো তাহলে এত আদর করে বলতাম সোজা কলার ধরে নিয়ে যেতাম, ভাবছিলাম আমার কপালে একটা ভদ্র, সহজ,সরল বর জুটবে, শেষ পর্যন্ত একটা বদের হাড্ডি জুটছে!!!! [ধুর নিজের বরকে যে কী বলছি,আগে ব্যাটাকে রাজি করাতে হবে বাকীটা পরে!!!)
তারপর কেয়া এক প্রকার জোর করে নাঈমকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে যায়।
ওয়েটার ::: ম্যাম আপনি তো অনেক দিন পর এসেছেন একবারে স্যারকে সঙ্গে করে। , আসুন এখানে বসুন। আর কী খাবেন বলুন।।।
তারপর কেয়া অনেক মেনুর অর্ডার দেয়–( কেয়া তার বান্ধবীদের নিয়ে এখানে আসে তাই এরা কেয়া কে চিনে।)
নাঈম::: এই ও কী বলে গেল??? আমি স্যার আর আপনি ম্যাম। মানে টা কী???
ওহী::: আপনি না বুঝবেন না!!!!
নাঈম::: আমি কী বাচ্চা নাকি???
ওহী::: হলে তো ভালই হতেন”” আমার চাওয়াও পুরন হত, হয়েছেন তো এনাকন্ডা, উগান্ডা আর উজভুকের মত!!!!
নাঈম:::: এই কী বললা, আমি কী??? আর তোমার সাহস হয় কী করে আমাকে এসব বলার!!!
ওহী::: ((সেরেছে আজ কপালে শনি, বুধ, শুক্র সবই, আছে। উজভুকটা যে আবার ক্ষেপেছে, আল্লাহ গো এবারের মত সারিয়ে নেও))
তারপর তারাদের খাবর এলো
ওয়েটার::: এই নিন স্যার আপনাদের খাবার???
তারপর তারা খাবার গ্রহণ করতে থাকে….
কেয়া::: (আচ্চা আমার প্রতি ওর মনে ফিলিংস আছে, নাকি ওর রাগের মত ওর মনটা কঠিন।)
নাঈম::: এই, আপনি ভাবছেন কী আর আমাকেবা এখানে নিয়ে আসছেন কেন??? ( আচ্চা কেয়া কী বুঝতে পেরেছে আমি যে ভালবাসি)
কেয়া::: না কিছু না।।। এই আরেক টু পরে নিজেই বুজতে পারবেন।
তারপর তারা খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবার বেরিয়ে পরে….. কেয়া লোকেশন দেখেয়ে দিচ্ছে আর নাঈম যাচ্চে, সাথে প্রচুর বকবকও করছে।।।।
নাঈম:::: এই আপনি আমাকে স্যার স্যার বলছেন কেন???
কেয়া::: তো কী বলব???
নাঈম:::: আমার একটা সুন্দর নাম এসেছে।।।
কেয়া::: ও তাই তো!!! তবে একটা শর্তে???
নাঈম::: কী শর্ত???
কেয়া::: আমাকে আর আপনি করে বলতে পারবেন না!!!!
নাঈম::: কেন?? আপনাকে চিনি না জানি না, আর আপনি আমার কে বা হন???
কেয়া::: এই তো এখন চিনেছেন, জেনেছেন, আর আমি আপনার কী হয় সেটা না হয় পরে বলব???
এখন আমাকে নামিয়ে দেন আমার বাসা চলে আসছে..
তারপর নাঈম কেয়া কে তাদের বাসায় নামিয়ে বাসায় চলে আস
দিন সকালে….
কেয়া কলেজে একা একা বসে আছে কারো সাথে কথা বলছে না, আড্ডাও দিচ্চে না….
নাফিশা::: এই তোর কী হয়েছে বলবি???
কেয়া::: না তো কিছুই হয় নি???
নাফিশা::: আমি সিউর তোর তো কিছু একটা হয়েছে।।।।
কেয়া::: কিছুই হয়নি। চল আজ মুভি দেখতে যাব???
নাফিশা::: না আমি যাব না তুই যা…
কেয়া::: কী তুই যাবি না, তুই যাবি তোর চৌদ্দগুষ্টি যাইবো….
তারপর কেয়া নাফিশাকে জোর করে গাড়ি তুলে নেয়।।
নাফিশা::: আচ্চা এটা তো বল আমরা কই যাচ্চি…
কেয়া::: সেটা জানি না, তবে এটা আজ গাড়ি নিয়ে পুরো শহরটা ঘুরবো।।
নাফিশা::: পাগল নাকি!!!
কেয়া::: তোর যদি তা মনে হয়….
নাফিশা::: তোর মাথায় কখন যে কীসের ভুত চাপে আল্লাহই জানে…..
তারপর নাফিশা গাড়ি ড্রাইভ আর কেয়া বসে আছে… হটাৎ
কেয়া::: থামা থামা!!!!
নাফিশা::: কেন কী হয়েছে’,’,
কেয়া::: ডানে তাকা!!!
তারপর নাফিশা ডানে দেখে তার ভাইয়া নাঈম দুই অন্ধলোককে খাওয়াচ্চে এবং তাদের মাথে খাবার খাচ্চে///
নাফিশা::: ও এই ব্যাপার???
কেয়া::: কী সুন্দর না;;;
নাফিশা::: হুম!! যাবি এক
জায়গায়???
কেয়া::: কই যাব???
নাফিশা::: চল গেলে দেখতে পাবি//
তারপর তারা একটা আশ্রমে আসে…
কেয়া::: এটা তো দেখি আশ্রম!! “” ফ্যামিলি ফিল আপ আশ্রম”” এটা আবার কেমন???
নাফিশা::: হুম এটা আশ্রম চল ভিতরে তাহলে বুঝবি!!!
তারপর তারা ভিতরে যাই, নাবিলা অভাক হয়ে যায় এখান কার পরিবেশ দেখে, আসলে অভাক হওয়ার কি কথা, এ আশ্রম অন্য সব আশ্রম এর মত নয়।।।
কেয়া আর নাফিশা তাদের সাথে কথা বলে!!!
নাফিশা:: কিরে কেমন??
কেয়া::: সত্যি অসাধারন!!!
ওখানে এক বৃদ্ধা ::: কেমন আচ মা!!! (নাফিশাকে)
নাফিশা:: ভালো, তুমি কেমন আছ???
উনি:: ভালো!!! তা ও কে মা!!
নাফিশ:: ও আমার বান্ধবী!!!
উনি:: ভালো আছ মা!!
কেয়া::: ভালো!!
নাফিশা:::চল আরও কিছু দেখার বাকী আছে!!!
তারপর ওরা যায় এবং কেয়া তো ওখানে যেয়ে আরও অভাক!!! কারন কিছু ছেলেমেয়েদেরকে ওখানের বৃদ্ধামহিলারা খাবার খাওয়াচ্ছে!!!
কেয়া::: সত্যি অসাধারন!!!
নাফিশা::: চল ওখানে!! খুব খিদে পাইছে!! খাব!!
তারপর তারা ওখানে খাওয়া খায়, হটাৎ নাবিলা একজনকে একটা প্রশ্ন করে বসে….
কেয়াঃঃ আচ্চা আপনার সন্তার আপনাকে এখানে রেখে গেছে কেন???
ওখানে এক বৃদ্ধাঃঃ শোন মা জীবনের দুইটা সময় কেউ মূল্যদেয় না।একটা হল শৈশব আর অন্যটা আমাদের এই বয়স।।।
কেয়াঃঃ সরি, আন্টি!!
ওনিঃঃ আর শুন আমার জীবনের সবচেয়ে সুখিময় জীবন এখন অতিবাহিত হচ্চে।।
কেয়া:::: কি ভাবে
উনি::: এই যে তোমরা আস।।। তোমাদের ভালবাসাতে সত্যি আমার সব কষ্ট ভুলে যায়।আর এই যে দেখছে এঅসহায় ছেলেমেয়েদের এদের ভালবাসাতে সত্যি আমি আমার বাড়ি সন্তানের সব কষ্ট বুলে গেছি
তারপর কেয়া উনাকে ঝড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে….
কেয়াঃঃ আচ্চা আমরা এখন আসি???
উনিঃঃ আচ্চা, আবার আসবে কিন্তু!!
কেয়া::::হুম আবার আসবো!!
তারপর তারা রওনা দিল কেয়া গাড়ি ড্রাইভ করছে…
নাফিশা:::এবার বুজলি তো আশ্রম এর নামের অর্থটা কী???
কেয়াঃঃ হুম বুঝলাম!!! সত্যি যদি আমাদের দের বৃদ্ধা আশ্রম আর শিশু আশ্রম এক করে দেওয়া হয় তাহলে শিশুরা একটা মায়ের কোল পাবে আর বৃদ্ধারও কিন্তু সন্তান পাবে নারে???***((( সত্যি সরকারী বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর এমন করা উচিত))((কি বলেন)))***
নাফিশাঃঃ ঠিক বলেছিস!!
তারপর তারা তাদের বাসায় চলে যায়….
নাফিশাঃঃ ভাইটু!! একটা কথা বলবো শুনবি??
নাঈমঃঃ বল কী বলবি!!
নাফিশাঃঃ তোর কম্পিউটার বন্দকরে যদি মনযোগ সহকারে শুনস তাহলে বলব!!!
নাঈমঃঃ তুই বল আমি তো শুনছি???
নাফিশাঃঃ না বলব না???
নাঈম:::: আচ্চা করলাম, এবার বল???
নাফিশাঃঃ আচ্চা তুই কেয়া কে প্রপোস করস না কেন!!!
নাঈম::::কেন??? এখন কেন, আর তোকে তো বলেছি আগে ওর মনে আমার জন্য ফিলিংস সৃষ্টি করবো তার পর!!!
নাফিশা:::: গ্রেট ভাইটু ;; তবে তার আর প্রয়োজন হবে না??
নাঈমঃঃ কেন????
নাফিশাঃঃ তোর জন্য দুষ্ট বদের হাড্ডিটা ভদ্র হয়ে গেছে;; এত বাচল মেয়েটা চুপচাপ হয়ে গেছে!!! তারপর তোর ওকে পরীক্ষা করে দেখতে হবে!!! শোন তুই যদি ওকে প্রপোস না করস তাহলে আমি ওর মা বাবা কে বলে ওর বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্তা করব!!!
নাঈম::: তার আগে আমি মামাকে বলে তোর বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্তা করব, এই তো আসি বলতে যাচ্চি ;;
নাফিশাঃঃ ভাইয়া না তুমি এমন করতে পারনা,, তুমি আমার লক্ষ্মি ভাইটু!!!
নাঈমঃঃ এখন আর পাম দিতে হবে না আমি তো বলে দিব!!
নাফিশা:::না বলিস না, আর শুন এখন থেকে যদি কেউ ওর সাথে মিলার চেষ্টা করে ওর পা ভেঙ্গে হাতে ধরিয়ে দির তবুওবলিস না!!
নাঈমঃঃ আচ্চা এবারের মত মাপ করে দিলাম!!!
নাফিশা::: থ্যাক্কু ভাইটু;;; তুমি খুব ভাল, শুধু মাঝে মাঝে কেন যে বিলেন হয়ে যাস!!
নাঈমঃঃ কী বললি তুই???
নাফিশা::: কই আমি তো কিছুই বলিনি!!! (বলে দিল দৌড়)
পরের দিন সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে……
তিন্নি::: নাফিশা, আজকাল কেন যেন মনে হয়না কেয়া একদম শান্তশিষ্ট ভদ্র মেয়ে হয়ে গেছে!!!
কেয়া::: ওই আমি কবে তোর পাকা ধানের ক্ষেতে মই দিলাম রে!!!
নাফিশাঃঃ থাক আর ঝগড়া করতে হবে না!!! আর আজ সকলকে একটা খুশির সংবাদ দেওয়া হবে যদি সেটা কেয়ার ব্যাপারে তবে আগে বলতে হবে তোদের দুই কিপটার মধ্যে কে ট্রিট দিবি!!!
সায়রা::: ওই আমরা কিপটা; যা আয় আজ তোরে আমি খাওয়াব!!!
কেয়াঃঃ ওই আমার আবার কীসের খুশির সংবাদ!!!
নাফিশাঃঃ তুই আগে চল তাহলে বুঝবি??
তারপর তারা সবাই একটা রেস্টুরেন্টে যায়
তিন্নিঃঃ কিরে বল!!
নাফিশাঃঃশুন তাহলে
————————————————–
নাফিশা:: তাহলে শুন….. আমাদের এই দর্জাল ডাইনি বান্ধবীটি এত নম্র ভদ্র হওয়ার কারন…..
ওহী:::ওই উগান্ডা কী বললি??
সায়রা:::ওই তিন্নি ওর মুখটা কিছু দিয়ে বেধেঁ দেত, এখন আর ওর এসব প্যারা শুনতে ভাল লাগছে না….. আর ওই তুই বল???
নাফিশা::: আরে ওহী প্রেমে পড়েছে!!!
তিন্নি::বলিস কি??? সত্যি!!! কার??
ওহী::: ওই ওই ওই!!! ডাইনি, পেত্নী!!!
বলেই যেই নাফিশার গলা টিপে ধরতে যাবে….
সায়রা::: এই তুই বস আর আমাদের সাথে শুন???
ওহী:::
তিন্নি:: নাফিশা কীভাবে হল এসব ???
নাফিশা:: তোরা আগে ওহীরে ধরে রাখ, তারপর আমি বলছি, না হয় ও আজ আমায মেরে ফেলবে…
তিন্নি::ধরেছি তুই বল!!! কার প্রেমে পড়েছে আমাদের ঝগড়াটে রানী।।।।
নাফিশা:: HH group এর চেয়ারম্যান আরাফাত নাঈম ভাইয়ার প্রেমে
সায়রা::: বলিস কী?? কবে কেমনে কি হল???
তারপর নাফিশা সব বলে…..
ওহী লজ্জায় নিচের দিকে তাকিয়ে আছে…….
সায়রাঃঃ দেখি আর লজ্জা পেতে হবে না, এখন বল তুই একে যানাস নি কেন???
ওহীঃঃ তুই দেখছস কখনো মেয়েরা ছেলেদের প্রপোস করে, আর নাঈমই বা আমাকে পচন্দ করে, উনাকে তো দেখি সারাদিন হাজারো মেয়েকে সাথে নিয়ে ঘুরে…
নাফিশা::: আরে শুন আমি গ্যারন্টি দিয়ে বলছি উনি একমাত্র তোকেই ভালবাসে!!!
সায়রাঃঃ এত কিছু বুঝি না বল তুই কবে প্রপোস করবি, আর কবে আমাদের ট্রিট দিবি…
ওহীঃঃ আমিতো নিজেও বুজতে পারছি ন
নাফিশাঃঃ আমি কিন্তু তোকে সাহায্যে করতে পারি,বিনিময়ে আমি কি পাব???
তিন্নিঃঃ তুই এই বিনিময় কাজটা আর ছাড়তে পারলিনা??
ওহীঃঃ বল কী দিতে হবে….
নাফিশাঃঃ এখন সবাই চল, আর ওটা না পড়ে চেয়ে নিব…
তারপর সবাই বাড়ি চলে আসে….
নাফিশাঃঃ ভাইটু আসব!!
নাঈমঃঃ হুম!!
নাফিশাঃঃ ভাইটু একটা গরম গরম খবর আছে!!
নাঈমঃঃ কী খবর বল!!
নাফিশাঃঃআগেতো আমায় কিছু দিতে হবে।।।
নাঈমঃঃ তোর ঘুস খাওয়ার অভ্যাস আর গেল না; বল কত লাগবে….
তারপর নাঈম নাফিশাকে টাকা দেয় এবং নাফিশা সব বলে……
নাঈমঃঃ হুম বুঝলাম।। তো এখন আমি কী করব।।।
নাফিশাঃ কী করবি মানে সেটাও কী আমাকে বলে দিতে হবে
নাঈমঃঃ নারে আপুনি, সেটা আর তোকে বলে দিতে হবে না।
নাফিশাঃঃ যাই হোক আমি চাই তুই আমার ভাবিটাকে তাড়াতাড়ি আমাদের বাড়ি নিয়ে আয়।।। খাওয়ার জন্য ডাকছে নিচে খেতে আয়।।।
পরের দিন সকালে ওহী কলেজে যাচ্চে আজ আর ওহী গাড়িটি নেই নি।।।। রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছে, নাঈম ও যাচ্চে ওখান দিয়ে….
নাঈম গাড়ি থামিয়ে হর্ন দিয়ে যাচ্চে….
ওহীঃঃ দু্র্র ছাই!!! এমন হর্ন দিচ্চে কে কোন নাইজেরিয়া, উগান্ডা ???( বলেই পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখে নাঈম,,) ( যা সেরে আজ আর রক্ষা নাই একে তো আমি যে কেন সময় রাস্তার উপরে এসে পড়েছি, তারউপর…. আল্লাহ বাঁচাগো)….
নাঈমঃঃ এই তুমি কি বললে আমি উগান্ডা, নাইজেরিয়া, আর তুমি হাঁটা সময় কী ভাবছো???
ওহীঃঃ কই কিছু নাতো?? ( ওরে উগান্ডা আমি তো তোর কথাই ভাবচি, )
নাঈমঃঃ এই এখনই একটা দুর্ঘটনা ঘটত পারত।।।।
ওহীঃঃ আপনি আছেন না!!!
নাঈমঃঃ আমি আছি মানে!!!
ওহীঃঃ কিছু না!!( ভিতরে শুধু রাগটা ই আছে কোন ফিলিংস ই নাই)
নাঈমঃঃ উঠুন গাড়িতে উঠুন!!!
তারপর তারা গাড়িতে উঠে এবং কলেজের দিকে রওনা দেয়…. মাঝ পথে হঠাৎ ওহী…..
ওহীঃঃ কপি খাব গাড়িটা থামান না,,,
নাঈমঃঃ কপি খাবেন মানে, আপনার কলেজ মিস হয়ে যাবে না???
ওহীঃঃ না, আপনি থামান।।।।
তারপর তারা গাড়ি থামিয়ে কপি খেতে নামে, তারা কি খাচ্চে এমন সময়…..
একটা মাস্তানঃঃ কী মামা, কেমন খাচ্ছেন??
আর মাস্তানটি ওহী গা ঘেসে বসার চেষ্টা করছিল…..
নাঈমঃঃ ওহী তুমি উঠ, আর ভিতরে গিয়ে দাঁড়াও!!!
মাস্তানঃঃ কী মামা হিরোগিরি দেখাও, আমরা কয় জন আছি দেখছ….
নাঈমঃঃ তুমি দাড়িয়ে আছ কেন ভিতরে যেতে বললাম না!!!
তারপর নাঈম অই মাস্তান টিকে কিছু না বলে সরাসরি ওদের লোকের কাছে চলে যায়…..
নাঈমঃঃ দেখ, আমার হাতে সময় কম। তোরা বাচঁতে চাইলে চলে যা, নাহয পড়ে হসপিটালে যাওয়জর জন্যও সময় পাবি না।।।।
অন্য একটি মাস্তানঃঃ শুনচস ও বলে কি???
বলে নাঈমের কলার ছেপে ধরে, আর নাঈমের কলা ধরার কারনে নাঈমেন খুব রাগ হয় তাই নাঈম ওকে এমন জোরে একটা মারে যে কয়েক সেকেন্ড পর তার মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে
মাস্তানঃঃ ওই তুই কী করলি???( বলে একটা লাঠি নিয়ে নাঈমকে মারতে যায়, কিন্তু ওই লাঠিন আঘাত নাঈমের গায়ে না লেগে লাগল))
মাস্তানটার লাঠির আঘাত নাঈমের গায়ে না লেগে কেয়ার মাথায় লাগে সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে যায়।।।।।
নাঈমঃঃ কেয়া, কেয়া!!!!
তারপর নাঈম যেই তাদের মারতে আসবে তারা চলে যায়, নাঈম আর তাদের তাড়া না করে দ্রুত কেয়া কে হসপিটালে নিযে যায়, এবং কিছুক্ষণের মধ্য কেয়ার জ্ঞান ফিরে আসে।।।।।
ডাক্তারঃঃ চিন্তার কিছু নাই, এখই আপনাকে ছেড়ে দিচ্চি, আর মেডিসিন গুলো ঠিক করে খেও।।।
তারপর তারা হসপিটাল থেকে চলে আসে, কিন্তু কেয়া অসুস্থ থাকায ঠিক ভাবে হাটতে পারছে না…..
নাঈমঃঃ আর ইউ ওকে???
কেয়াঃঃ হুম!!
নাঈমঃঃ আপনার শরীর মনে হচ্চে দুর্বল,,আমাকে ধরে হাঁটুন !!!
তারপর কেয়া নাঈম কে ধরে হাঁটতে থাকে….
কেয়াঃঃ আচ্চা একটা কথা বলি??
নাঈমঃঃ কী বল??
কেয়াঃঃ আচ্চা আপনি আমার এত কেয়ার করেন কেন???
নাঈমঃঃ কি এত কী কেয়ার করলাম আপনার …
কেয়াঃঃ আমার তো আপনাকে কেমন একটা সন্দেহ হয়???
নাঈমঃঃ কেমন??
কেয়াঃঃ
নাঈমঃঃ হুম বল কেমন!!
কেয়াঃঃ এই আপনি যেমন!!
নাঈমঃঃ আচ্চা আচ্চা বুঝতে পরেছে এখন আসুন বাড়ি যাই!!
কেয়াঃঃ কী বুঝতে পারছেন!!!
নাঈমঃঃ তা আর আপনাকে বুঝতে হবে না!! এবার গাড়িতে উঠুন!”
তারপর তারা বাসার দিকে যায়…….
নাঈমঃঃ ওই সময় এত রিস্ক না নিলেও পারতেন?? যদি আপনার কিছু হয়ে যেত???
কেয়াঃঃ আমার কিছু হলে আপনার কী আসে যায়!!
নাঈমঃঃ না আমার কিছু আসে যায় না!!
কেয়াঃঃ হুম আপনার আর কী এসে যাবে!!
নাঈমঃঃ কী আসবে
কেয়াঃঃ কিছু.. না( আপনার বা আসবে কী, কে হয় আমি, ধুর আমিই বোকা রয়ে গেলাম,, ফিসফিসিয়ে বলল)
নাঈমঃঃ কিছু বললেন!!
কেয়াঃঃ না কিছুই বলি নি!!!
নাঈমঃঃ ও আচ্চা তাই!! আমি শুনলাম আপনি আমাকে…
কেয়াঃঃ কী আমি আপনাকে…
নাঈমঃঃ না কিছু না!!আপনার বাসা চলে এসেছে!!!
তারপর কেয়া নেমে বাসার দিকে যাচ্চে কিন্তু অসুস্থ থাকায় হাঁটতে পারছে না,।।
নাঈমঃঃ দাঁড়ান আমি দিয়ে আসছি!!!
তারপর নাঈম কেয়াকে তাদের বাসায় পৌঁছে দেয়, কিন্তু আসার সময় নুহা ডাক দেয়,,,
নুহাঃ এই ভাইয়া।।। আরে আপু তোর মাথায় কী হইছে!!!
কেয়াঃঃ দেখতে পারছিন না!!!
নুহাঃ আবার শুরু করলি!!!
কেয়া আম্মু রান্নাঘর থেকে…..
আম্মুঃঃ কি হয়েছে নুহা, আর কে এসেছে???
নুহাঃ তেমন কিছু না, আর তোমাকে যেই ভাইয়াটার কথা বলে ছিলাম ওই ভাইয়া এসেছে!!! এসো ভাইয়া ভিতরে এসো ( বলে নাঈমকে জোর করে টেনে নিয়ে বসায়)
আম্মুঃঃ কই দেখি তোর ভাইয়াটাকে??? (বলে যেই কেয়ার আম্মু বসারঘরে প্রবেশ করল নাঈমতো দেখে অবাক, তাকে দেখে নাঈম দাঁড়িয়ে গেল))
নাঈমঃঃ আসসালামু আলাইকুম।।।।
আম্মুঃঃ ওয়ালাইকুমসালাম!!!
নাঈমঃঃ ভালো আছেন ম্যাম।।
আম্মুঃঃ ভালো, কিন্তুু তুমি আমাকে ম্যাম বলছ কেন( অবাক হয়ে)
নাঈমঃঃ আমি নাইম, আরাফাত নাঈম। আপনার ছাত্র।
আম্মুঃঃ তুমি আরাফাত নাঈম।।।
নাঈমঃঃ হুম আমি আরাফাত নাঈম।।।
আম্মুঃঃ কেমন আছ, কী কর??
নাঈমঃঃ ভালো। এখন বিজনেস করি!!
অাম্মুঃঃ ভালো।।।
এতোক্ষন পর্যন্ত কেয়া আর নুহা অবাক হয়ে বিষয গুলো দেখছে।।।
কেয়াঃঃ এই আম্মু তুমি দেখি তোমার ছাত্রকে পেয়ে আমাদের ভুলে গেছ।।। তুমি দেখছ না আমি অসুস্থ???
আম্মুঃঃ কই তোর আবার কী হল, মাথা পাটালি কি করে, নিশ্চয়ই তুই আবার কারো সাথে মারামারি করছিস।।
কেয়াঃঃ
নাঈমঃঃ না ম্যাম তেমন কিছু, ওই রাস্তার কিছু মাস্তান আমায় আঘাত করতে আসলে আঘাতটা ওর মাথায লাগে।।
আম্মুঃঃ আচ্চা, তা এতোদিনে একবারও ম্যাম এর সাথে দেখা করতে আসতে পারলি না।।।
নাঈমঃঃ আপনার ট্রান্সপার হওয়ার পরতো আর আপনার ঠিকানা জানতাম না।।।( আমার স্কুল লাইফ এর ম্যাম, পড়ালেখা আর কারিকুলাম এক্টিভিটিজ ভালো থাকায় ম্যাম খুব আদর করত))
তারপর ম্যাম এর সাথে অনেক ক্ষন কথা হল
নাঈমঃঃ আচ্চা ম্যাম, আমি এখন আসি!!
আম্মুঃঃ আচ্চা, আবার আসবে কিন্তু!!
নাঈমঃঃ হুম ম্যাম আবার আসবো!!
তারপর নাঈম চলে যায়,
নুহাঃ আপু আমার না একটা সন্দেহ হচ্চে….
কেয়াঃঃ কী আবার সন্দেহ….

নুহাঃঃ আমার মনে হয় কী

ভাইয়া না তোকে অনেক লাভ করে!!
কেয়াঃঃ দাঁড়া তোকে আজ….( বলে দৌড়াতে শুরু করল)
আম্মুঃঃ তুই অসুস্থ শরীর নিয়ে দৌড়াচ্চিস কেন!!
কেয়াঃঃ আম্মু নুহা তুমি সরে যাও আজ আমি নুহা কে…..
আম্মুঃঃ কী হয়েছে শুনি..
নুহা::: আম্মু বলেছি শুধু ভাইয়া না আপুকে লাভ করে আর আপু না….
আম্মুঃঃ পাকনামি না করে ঘুমাতে যা!!!( কান টেনে দিয়ে)
রাতে ঘুমানোর সময়……..
নুহাঃঃ আপু আসবো!!!
কেয়াঃঃ হুম!!
নুহাঃঃ আপু আমি আজ তোমার সাথে ঘুমাবো!!
কেয়াঃঃ হুম, ঘুমা!!
নুহাঃঃ লক্ষী আপু আমার!!
তারপর তারা ঘুমাতে যায়….
নুহাঃঃ আপু একটা কথা বলি!!
কেয়াঃঃ বল, কী বলবি??
নুহাঃঃ আগে বল আমাকে মারতে পারবি না, বকাও দিতে পারবি না!!
কেয়াঃঃ আচ্চা কিছু ই করবোই না!!
নুহাঃঃ আচ্চা শুন না, আমার আর তোর বয়স প্রায় সেমই!! !
কেয়াঃঃ তো কী হয়েছে!!
নুহাঃঃ তাহলে আমাকে বল না, তুই কী নাঈম ভাইয়াকে ভালবাসছ!!
কেয়াঃঃ তা আমি কী করে জানবো!!
নুহাঃঃ তার মানে তুই…..
কেয়াঃঃ আমি কী তা তোকে বলেছি।।
নুহাঃ আচ্চা আমাকে আর বুঝাতে হবে না!! আমি তো আর পিচ্চি না, আচ্চা শুন তুই বলছ না কেন!!
কেয়াঃঃ আমি কী করে বলব!!!
নুহাঃঃ আমি কী তোকে সাহায্যে করব!!
কেয়াঃঃ তার আর প্রয়োজন নাই, তুমি কী করতে পার আমার জানা আছে??? এখন কথা না বলে ঘুমাও!!
তারপর তারা ঘুমিয় পড়ে……
পরের দিন সকালে ক্যাম্পাসে….
সাবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছেল তখই আসে আয়ান…..
আয়ানঃঃ সবার কী খবর, কেমন আচ??
সায়রাঃঃ ভালো তোর কী খবর, আর কবে ফিরলি।।।
আয়ানঃঃ ভালো, গতকালই ফিরলাম!!
নাফিশাঃঃ তা কেমন কাটালি সিঙ্গাপুরে!!!
আয়ানঃঃ ভালো। খুব ভালো।।
তিন্নিঃঃ তোর আনিশার খবর কী??
আয়ানঃঃ ভালো।
কেয়াঃঃ এটা কী ঠিক হবে আয়ান।।
আয়ানঃঃ কী??
কেয়াঃঃ তুই বললি!! আনিশার সাথে দেখা করাবি কিন্তু….
আয়ানঃঃ যখন বলেছি তখন করাবো!!
নাফিশাঃঃ কবে!!
কেয়াঃঃ আরে আজ করাবি, চল।। দেখিনা এই ছেলেটা কোন মেয়েটার প্রেমে পড়েছে!!
আয়ানঃঃ আচ্চা, ওকে চল!!!
তারপর তারা একটা রেষ্টুরেন্টে যায় এবং অনেক আড্ডাদেয়, খাওয়া দাওয়া সবকরে তারপর তারা যে যার বাসার দিকে রওনা দেয়!!!!
কেয়াঃঃ তোরা যা আমি আয়ানের সঙ্গে চলে যাচ্চি!!
নাফিশাঃঃ আচ্চা তো!! তাহলে আমরা আসি!!
তারপর কেয়া, আনিশা, আয়ান একসঙ্গে যাচ্চে
হটাৎ কেয়াঃঃ…
কেয়াঃঃ ওই আয়ান শুন?? ( আনিশা আয়ানের হাতটি ধরে হাটতে থাকে এটা দেখে তো আয়ান আর আনিশা অবাক)
আয়ানঃঃ কী রে কী হয়েছে তোর?? এনি প্রবলেম??
কেয়াঃঃ তুই কথা কম বলে আমার সাথে হাটতে থাক??ার এই যে মিস আনিশা আপনি কোন কথা না বলে হাটতে থাকেন!!!
বুঝলেন না কারনটা, চলুন বুঝিয়ে বলি কেয়া নাঈমকে দেখে আর সে নাঈমকে পরীক্ষা করার এই সুবর্ণ সুযোগটা মিস করল না……..
কেয়া এরকম আচরন নাঈমকে অভাক করে, নাঈমের অনেক রাগ উঠে…
তারপর নাঈম এসে কেয়াকে জোর করে টেনে নিয়ে যায়, এটা দেখে আয়ান অভাক….. সে কিছুই বলতে পারছি না……নাঈম কেয়াকে তার গাড়িতে উঠায় এবং গাড়ি ড্রাইভ করতে থাকে…..
কেয়াঃঃ আমাকে কই নিয়ে যাচ্চেন!! আর আমাকে বা এবাবে নিয়ে এসেছেন কেন??
নাঈমঃঃ, সেটা আমি আপনাকে বলতে বাধ্য নয়???
কেয়াঃঃ আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্চেন আর আমাকে বলবেন না!! আমি এখন চেচাঁবো!!
নাঈমঃঃদেখি চেচাঁন!!!
তারপর কেয়া চেচাঁতে থাকে!!!!!
নাঈমঃঃ চুপ কর না হয় কিন্তু কানের নিচে একটা দিমু!!
কেয়াঃঃ কেন আমি কী করচি!!!
নাঈমঃঃ এইযে বেশী কথা বলযে!!
কেয়াঃঃ আমি বলব একশোবার বলল, আর আমাকে নামিয়ে দেন আমি য্ব না!!!
নাঈমঃঃ চুপ করে বসে থাকতে বলছি না!!!আর কাল থেকে যদি কোথায আড্ডা দিচ্চ তাহলে কিন্তু পা ভেঙ্গে….
কেয়াঃঃ আমাকে আদেশ দেওয়ার আপনি কে???
নাঈমঃঃ আমি কে না সেটা সময় বলে দিবে??? এখন নামেন সোজা বাসায় যাবেন…
কেয়া নাফিশাকে ফোন দেয়………
নাফিশাঃঃ হুম বল!!!
কেয়াঃঃ তুই যেভাবে বললি সেভাবে কাজটা হয়েছে গেছে!!!
নাফিশাঃঃ সত্যি দোস্ত!!
তারপর কেয়া নাফিশাকে সব বলে…….
নাফিশাঃঃ খুব ভালো!!
তারপর নাফিশা নাঈমের রুমে যায়,
নাফিশাঃঃ ব্যাস্ত নাকি!! খাবি চিপস্!!
নাঈমঃঃ আমারে কী তোর মত পিচ্চি মনে হয়!!
নাফিশাঃঃ না তা মনে হয় না, তবে তোরে কেমন আজ রাগান্বিত মনে হচ্চে, কোন সমস্যা, আমাকে বলতে পারিস, আমি সমাধান করে দিতে পারি!!! থাক কোন বকশিস দিতে হবে না এমনি করে দিব!!
নাঈমঃঃ একটা দিব নাকি কানের নিচে!!
নাফিশাঃঃ আমি এসেছি তোর উপকার করতে আর তুই আমাকে…… থাক আমি তোর কোন উপকার করব না, শুধু ওকে বলব যেখানে আছে সেখানে থাকতে, এই দিকে যেন না আসে!!!
নাঈমঃঃ
নাফিশাঃঃ আমি তো আগেই বললাম, এখন দেখছোস!!! আরকি গরিবের কথা তিতা হলেও সত্য হয়!!
নাঈমঃঃ এখন কী সত্যি সত্যি দিব নাকী!!
নাফিশাঃঃ প্রয়োজন নেই,আমি চলে যাচ্চি কিন্তু…..
নাঈমঃঃ তোরে আমি যেতে বললাম না!!!
তারপরে দিন সকালে…….
নাফিশাঃঃ এই বনু তুই কই যাচ্চি!! দুলাভাই তুমিও কই যাচ্চ!!!
সাদিয়াঃঃ ওই তোর আজকে ক্লাস আছেনা!!
নাফিশাঃঃ হুম আছে!!
সাদিয়াঃঃ তাহলে তোকে যেতে হবে না!!
নাফিশাঃঃ কই যাচ্চিস সেটাতো বলবি??
সাদিয়াঃঃ ভাইয়ার জন্য ভাবি দেখতে!!
নাফিশাঃঃ ফাজলামি করবি!! এই আপু সত্যি বলতো??
রিহাঃঃ হুম সত্যি!! তোর দুলাভাই নাইমের জন্য একটা মেয়ে দেখেছে সেটাই দেখতে যাচ্চি!!
নাফিশঃঃ ভাইয়া যানে!!
রিহাঃঃ না, যানে না??
নাফিশাঃঃ আ…..পু….
রিহাঃঃ সাদিয়ে তোর সাজগোজ শেষ হয়েছে, আর নাফিশা তুই যাবি!!
নাফিশাঃঃ হুম!!( ভাইয়া তোর কপাল পুড়লো, তুই যে কই)
তারপর তারা রওনা দেয, নাফিশা অনেক বার নাঈমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে কিন্তু বারবার নাঈমের ফোন ব্যাস্ত দেখায়!!
নাফিশাঃঃ[( ভাইয়া ফোন ধর তোর জন্য সবাই গর্ত করছে])
সাদিয়াঃঃ ওই নামবি, আমারা চলে এসেছি, আর তুই এমন কার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করচিস!!
তারপর তারা গাড়ি থেকে নামে, এমন সময় নাফিশাকে কল ব্যাক করে নাঈম….
নাঈমঃঃ কী হয়েছে, এতবার কল দিলি যে???
নাফিশাঃঃ সর্বনাশ হয়েগেছে!! তোর জন্য……
( নাফিশা তো অবাক একি এ বাড়ির পরিবেশ তো তার কেমন যেন চিনা চিনা লাগছে)[ তারপরতো নাফিশা বাড়ির নম্বর দেখে আর অবাক এটা তো কেয়াদের বাড়ির ঠিকানা]
নাঈমঃঃ ওই তুই যে চুপ করে গেলি!!
নাফিশাঃঃ ভাইয়া নেটওয়ার্ক সমস্যা তরে আমি আর একটু পরে ফোন দিচ্চি!!
…………..
নাফিশাঃঃ সাদিয়া শুন, ওই তোরা যাকে দেখতে আসচস তার নাম কী!!
সাদিয়াঃঃ কেন তুই কী করবি???
নাফিশাঃঃ তোকে বলতে বলেছি না বল??
সাদিয়াঃঃ মনে হয় কেয়া!!!
নাফিশাঃঃ তাহলে আমার সন্দেহ ঠিক, আগে এখান থেকে কেটে পড়ি!!! তারপর বাকি কাজ!!!
…………….
নাফিশাঃঃ আপু আমায় না একটা জরুরি কাজে যেতে হবে আমি যাচ্চি!!( বলেই নাফিশা চলে গেল)
তারপর সকলে কেয়াদের বাসায় প্রবেশ করে…….
কেয়ার ফুপাত ভাই….
অয়নঃঃ অত লেটে হল আসতে??
আবিরঃঃ আমি একা আসলে আরো তাড়াতাড়ি আসতে পারতাম কিন্তু আমার সাথে….. (আবির নাঈমরে বোনের বর)
রিহাঃঃ এই আমি দেরি করেছি….
অয়ন ভাইয়া আর আবির ভাইয়া তারা ফ্রেন্ড, আবির ভাইয়া কেয়াকে অয়নদের বাসায় দেখে পচন্দ হয়ে যায়, আর তারপর আমার সাথে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করে , আর তাই আজ দেখতে আসে…….
অয়নঃঃ আচ্চা বুঝেছি, বস।।
……………
অয়নঃঃ মামি, এরাই আমাদের মেহেমান!!!( তারপর তাদের সকলকে পরিচয় করে দেয়)
কেয়ার আম্মুঃঃ তুই থাম এবার। তোমরা নাস্তা নেও ।।
রিহাঃঃ আমরা নিচ্চি আপনিও নিন!!
আম্মুঃঃ তোমার আম্মু ভালো আছে??
রিহাঃঃ, হুম, ভালো আছে!!
আম্মুঃঃ, আচ্চা তোমরা গল্প কর।
তারপর তারা সবাই গল্প করে , এবং পরে তারা বাসার দিকে রওনা দেয়…..
রিহাঃঃ আচ্চা আমারা আসি!!
আম্মুঃঃ আচ্চা ভালো থেক!!
সাদিয়াঃঃ এই নেও হবু ভাবি আমার নাম্বার কোন সমস্যা হলে কল কর
তারপরে তারা সকলে বাড়ি ফিরে আসে….
কেয়াঃঃ আব্বু, আম্মু ওদের কে আমাকে দেখতে আসতে অনুমতি দিল কে??
আব্বুঃঃ কেন মা সমস্য কী??
নুহাঃঃ আব্বু তুমি বুঝবা না!!
আম্মুঃঃ তুই চুপ কর!! শুন কেয়া!! অয়ন বলল ছেলেটা ভালো, তাই আমরা আর মানা করলাম না, ছেলেটা দেখতে শুনতে সুন্দর, তুই ও দেখতে পারিস, নুহা ওকে ছবিটা দেখা!!!
কেয়াঃঃ লাগবে না আমার!!!
নুহাঃঃ দেখে নে না হয় পরে আরও কান্না করতে হবে!!
আম্মুঃঃ নুহক, ও না দেখ