ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে ঢাকা – রংপুরগামী একটি চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ডিপজল এন্টারপ্রাইজের বাসটি বগুড়ার মোকামতলা থেকে গাইবান্ধার বত্রিশমাইল পর্যন্ত ১ ঘণ্টাব্যাপী ডাকাতি সংঘটিত হয়। এ ঘটনায় আজ সকালে ওই বাসের এক যাত্রী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ডাকাত দলের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে চারজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিরা হলেন বাসের চালক ইসলাম মিয়া (৪০), তাঁর সহকারী আবদুল মোতাল্লিব (৩৫), বাসের সুপারভাইজার শরিফুল ইসলাম (৪৫) ও বাসযাত্রী ফয়সাল মিয়া (৫০)। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বাসের যাত্রীরা জানায়, বুধবার রাত ১০টার দিকে বাসটি ঢাকা থেকে রংপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। বাসটি রাত তিনটার দিকে বগুড়ার মোকামতলা এলাকায় পৌঁছালে বাসটি থামানো হয়। এ সময় অজ্ঞাতপরিচয়ে তিন থেকে চারজন লোক বাসে উঠে অস্ত্রের মুখে চালককে জিম্মি করে বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর তাঁরা চলন্ত বাসে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ডাকাতি করে।
এ সময় ডাকাত দলটি যাত্রীদের ১০–১২টি বেশি মুঠোফোন ও নগদ দুই লক্ষাধিক টাকা লুট করে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।বাসের যাত্রী রানা মিয়া জানান, ডাকাত দল তাঁর মুখমণ্ডল ও মাথায় আঘাত করে ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। ডাকাতি শেষে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরের একবারপুর বত্রিশমাইল এলাকায় তারা নেমে যায়। পরে যাত্রীদের চিৎকারে বাসটি ধাপেরহাট বাজারে থামান চালক।
তবে বাসের চালক ইসলাম মিয়া বলেন, ‘ডাকাতেরা যাত্রীর ছদ্মবেশে ঢাকা থেকে গাড়িতে ওঠে। মোকামতলায় পৌঁছানোর পর তারা আমার ডান হাতে ছুরিকাঘাত করে বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। ডাকাতি শুরুর সময় আমার সহকারী আবদুল মোতাল্লিব ও সুপারভাইজার শরিফুল বাধা দিলে তাদেরও ডাকাতেরা ছুরিকাঘাত করে।’
সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক সেরাজুল হক ডাকাতির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাসের যাত্রী ও চালক ডাকাতির ঘটনার ভিন্ন বর্ণনা দিয়েছেন। আজ সকালে বাসটি জব্দ করে বাসের চালক ও সুপারভাইজারকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে বাসসহ চালক ও সহযোগীকে বাসমালিকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ওই বাসের যাত্রী রানা শেখ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।