উত্তরের অবহেলিত এই জনপদের মানুষ শত কষ্ট করে জীবিকা নির্বাহ করলেও শান্তি নিয়ে বাঁচতে চায়। কিন্তু কিছু দুষ্কৃতকারী, সন্ত্রাসী, সুদখোর ও খুনিদের তৎপরতা এই জনপদের মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। একের পর এক খুনের ঘটনায় মানুষ হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত খুনের ঘটনা ঘটেছে। খুন হওয়াদের তালিকায় সবশেষ যুক্ত হয়েছে সাবেক ছাত্রনেতা ও গাইবান্ধা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল হাসান লিখনের নাম।
আমাদের আপডেট জানতে ফলো করুন: ক্লিক করুন
বক্তারা উদ্বেগ নিয়ে বলেন, ‘শহর থেকে গ্রামে—সবখানে মানুষ সীমাহীন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এই অবস্থায় আমরা রাজধানীতে বসবাসরত গাইবান্ধার মানুষ রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। আমরা আর কোনো লিখনকে হারাতে চাই না। কোনো দুষ্কৃতকারী, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, খুনির হাতে গাইবান্ধাকে জিম্মি হতে দিতে চাই না। স্বজন হারানোর কান্না আর দেখতে চাই না।’
এই অবস্থায় গাইবান্ধা ও গাইবান্ধাবাসীর নিরাপত্তা বিধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয় সমাবেশে। তাঁরা বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গাইবান্ধার মানুষ আজ অভিভাবকহীন। অভিভাবকহীন এই জনপদকে বাঁচাতে আপনি আমাদের অভিভাবক হোন। আপনার কঠোর হস্তক্ষেপে গাইবান্ধাকে বাঁচান।’
কামরুজ্জামান মান্নুর সভাপতিত্বে সমাবেশে রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোকছুদার রহমান মাকসুদ, ভালোবাসি গাইবান্ধার সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ান আশরাফ এলিস, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সহীদুল্লাহ হেল কবির ফারুকসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।