অভূতপূর্ব দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে কুড়িগ্রামের নদ-নদীর তীরে গড়ে ওঠা চর অঞ্চলে। এই অপার সৌন্দর্য প্রকৃতিপ্রেমিদের মনের খোরাক মেটানোর পাশাপাশি কাশবন বিরাট ভূমিকা রাখছে চরবাসীর জীবন-জীবিকায়।

 

বিকেলে স্নিগ্ধ বাতাসে নীল আকাশে খণ্ড খণ্ড সাদা মেঘ। ধুধু বালুচরে কাশফুলের বিছানা। নদীর তীরে প্রকৃতির এক অপরূপ লীলাভূমি। কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ছাড়াও আরো ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকায় সাড়ে চার শ চরে দেখা মেলে এমন মনোহর দৃশ্যের।

ক্ষণিকের জন্য শহরের কোলাহল ছেড়ে নদী, বালুচর, সাদা মেঘ ও কাশফুলের এই মিতালি দেখে অভিভূত হন প্রকৃতিপ্রেমিরা। উপভোগ করতে ছুটে আসে দূর-দূরান্তের মানুষ। অনেকেই আসেন পরিবারসহ। অবসরে ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগে, শেষ বিকেলের আলোয় চর অঞ্চলে কাশ ফুলের মাঝে মুক্ত প্রকৃতির সান্নিধ্যে।

 

বিনা যত্নে কাশবন গজিয়ে ওঠে। কাঁচা কাশগাছ যেমন গরুর খাবারের জোগান দেয়, তেমনি শুকনো কাশগাছের খড় দিয়ে তৈরি হয় ঘরের ছাউনি। জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার হয় কাশগাছের নাড়ার অংশ। তাছাড়াও নানা ঔষধিগুণের কথা বলেন উদ্ভিদ-গবেষকরা।

পোষ্টটি লিখেছেন: Staff Reporter

এই ব্লগে 250 টি পোষ্ট লিখেছেন .

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *