শিশু রেদওয়ানের বয়স মাত্র ছয় বছর। বয়সের তুলনায় ক্ষীণকায় শরীর। স্বভাবে, চালচালনে শিশুসুলভ উচ্ছলতা নেই। শিশুটিকে সারাক্ষণ মনমরা থাকতে দেখে হতদিরদ্র মা-বাবা।
ছয় মাস বয়সে রেদওয়ানকে চিকিৎসকের কাছে নিয়েছিলেন মা-বাবা। প্রাথমিক অবস্থায় তার রোগ চিহ্নিত করা না গেলেও রংপুরে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হুমায়ুন কবির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারেন, হার্টে দুটো ছিদ্র নিয়ে জন্মেছে শিশু রেদওয়ান।
শিশু রেদওয়ান লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের জমগ্রাম ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দিনমজুর ফজলু হক ভুট্টুর ছেলে। তার ভিটে ছাড়া সহায়-সম্বল কিছুই নেই। পরিবারের সাত সদস্যর মধ্যে রেদওয়ান সবার ছোট।
বাবা ফজলু হক ভুট্টু বলেন, ছয় মাস বয়সে রেদওয়ানের শারীরিক পরীক্ষায় তার হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে। তখন চিকিৎসক বলেছিলেন, পাঁচ থেকে ছয় বছর বয়সে হার্ট অপারেশন করাতে হবে। এখন রেদওয়ানের বয়স ছয় বছর। কিন্তু টাকার অভাবে অপারেশন করাতে পারছি না। তার চিকিৎসার জন্য তিন লাখ টাকা প্রয়োজন।
শিশু রেদওয়ানের মা রশিদা বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ। ছেলের চিকিৎসার জন্য এত টাকা কোথায় পাবো? কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি যদি আর্থিকভাবে সাহায্য করেন তাহলে আমার ছেলেটা বেঁচে যাবে।
বাউরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কালাম আহাদ জানান, অসুস্থ শিশুটির পরিবার খুবই গরিব। তাদের চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ্য নেই। শিশুটির সাহায্যে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত।