জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে যৌথভাবে কাজ করবে জাতীয় সংসদ ও ইউনিসেফ। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আক্রান্ত অতি দরিদ্র শিশুদের নিয়ে কাজ করতে চায় তারা। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব দেন ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট। পরে স্পিকার এ বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করেন।
সোমবার সংসদ ভবনস্থ স্পিকারের দপ্তরে সাক্ষাতকালে তাঁরা শিশু স্বাস্থ্য, মহিলা ও শিশু সহিংসতা প্রতিরোধ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জনস্বাস্থ্য বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আলোচনাকালে স্পিকার প্রাথমিক পর্যায়ে এক বছরের জন্য কাজ শুরুর পরামর্শ দেন। তিনি দক্ষ জনবল তৈরী করতে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করার জন্য শেলডনকে অনুরোধ করেন।
এ সময় স্পিকার বলেন, মহিলা ও শিশু শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, মহিলা ও শিশু সহিংসতা প্রতিরোধ করতে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে একযোগে কাজ করতে হবে। জাতীয় বাজেটে শিশু বাজেট আলাদাভাবে অর্ন্তভুক্ত করা খুবই জরুরী। শিশুমৃত্যু হার হ্রাস, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাতৃমৃত্যু হ্রাস, নারী সহিংসতা দূরীকরণে জাতীয় সংসদের বিএপিপিডি প্রকল্পের আওতায় সংসদ সদস্যগণ নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ জনগণকে অধিকতর সচেতন করতে কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন : দেশের সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান হলেন রাবি শিক্ষার্থীর চিশতী
আমাদের সাথে যুক্ত থাকতে:
ফেসবুকে | ইউটিউবে |
জাতীয় সংসদের সঙ্গে ইউনিসেফ কাজ করতে পারায় গর্বিত বলে জানান ইউনিসেফ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট। তিনি বলেন, মহিলা ও শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য অধিক অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন। এ সময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের জন্য পার্লামেন্টারী ককাস গঠরনর অনুরোধ করেন।
এরপর স্পিকারের সঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো বিদায়ী সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতকালে তাঁরা কভিড-১৯ পরিস্থিতি, নারী অধিকার, নারী সহিংসতা প্রতিরোধ এবং লিঙ্গ সমতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।