বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে  তথ্য জানানো হয়েছে যে

সারাদেশে চলতি মাসে ২-৩টি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এর মধ্যে একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ থাকবে। শুধু তাই নয়, জানুয়ারি মাসে স্বাভাবিক যে তাপমাত্রা থাকে, এবার তার চেয়েও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা গেছে, শীত পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটতে পারে। মঙ্গলবার তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই এলাকায় বুধবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নিম্ন তাপমাত্রা আরো দুই-তিন দিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর (বিএমডি)।

 

সংস্থাটি আরো জানায়, এ মুহূর্তে দেশের ৬টি জেলায় বইছে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ। এগুলো হচ্ছে-রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা। এসব জেলায় তাপমাত্রা ১০ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আছে। সাধারণত এ অবস্থায় তাপমাত্রা থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। আর যদি ৮ থেকে ৬ ডিগ্রির মধ্যে থাকে তাহলে তা মাঝারি এবং ৬ ডিগ্রির নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

 

বিএমডির ২ জানুয়ারি প্রকাশিত এক মাস মেয়াদি বুলেটিনে বলা হয়, চলতি মাসে ২-৩টি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। এর মধ্যে একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ থাকবে। শুধু তাই নয়, জানুয়ারি মাসে স্বাভাবিক যে তাপমাত্রা থাকে, এবার তার চেয়েও কমে যেতে পারে।

এদিকে তীব্র শীত ও কনকনে ঠাণ্ডায় জনজীবন সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

মঙ্গলবার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা কম থাকায় সেখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।

ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪, ময়মনসিংহে ১২ দশমিক ৪, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ৬, সিলেটে ১৩ দশমিক ৫, রাজশাহী ১০ দশমিক ৫, রংপুরে ১০ দশমিক ৩, খুলনায় ১২ এবং বরিশালে ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সারাদেশে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে গেছে।

পোষ্টটি লিখেছেন: Staff Reporter

এই ব্লগে 250 টি পোষ্ট লিখেছেন .

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *